ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৯, ১৫ এপ্রিল ২০২৪  

ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল

ষাটগম্বুজ ও সুন্দরবনে পর্যটকদের ঢল

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের টানা ছুটিতে বাগেরহাটের দু’টি বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নানা বয়সের পর্যটকরা ৬’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ষাটগম্বুজ মসজিদ ও বিশ্বের বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছেন। করমজল, হারবারিয়া, হিরণ পয়েন্ট, কচিখালী ও দুবলার চরসহ বনের প্রতিটি ভ্রমন স্পটে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করছেন তারা। একইসাথে বলেশ্বর ও ভৈরব নদীর বাঁধে পর্যটকদের ঢল নেমেছে।

গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন থেকে শনিবার হাজার হাজার হাজার পর্যটক এসব স্থানে এসেছেন। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের দীর্ঘ ছুটির কারণে আগামী কয়েকদিন পর্যটকের চাপ অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে আসা ইসমত আরা বেগম ও আবির আহমেদ বলেন, অনেকদিন থেকে ইচ্ছা ছিল সুন্দরবন ঘুরতে আসবো। ঈদ ও নববর্ষ উপলক্ষে মোট ৬ দিনের ছুটি পেয়ে সুন্দরবনে চলে এলাম। এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে। বিভিন্ন রকম বন্যপ্রাণী দেখলাম। নিজ হাতে হরিণকে গাছের পাতা খাইয়েছি। কাছ থেকেই বানরের লাফালাফি দেখেছি। সুন্দরবনের এই বন্য পরিবেশ দেখে অনেক ভালো লাগছে।

পর্যটক রাতুল হাসান বলেন, মোংলা থেকে সুন্দরবনের করমজল পয়েন্টে আসা খুবই সহজ। প্রতিবছর ঈদের সময় বন্ধুরা মিলে মোংলা থেকে ট্রলার ভাড়া করে সুন্দরবনে আসি। এবছর মানুষের চাপ একটু বেশি, ফলে ট্রলার ভাড়া নিতে একটু হিমশিম খেতে হয়েছিল। আজ করমজল পয়েন্ট ঘুরেছি, কাল হারবাড়িয়াসহ আরো কিছু স্পট ঘুরবো।

অপর পর্যটক মোহাম্মদ সাঈদ বলেন, পরিবারের সঙ্গে সুন্দরবনে এসে ঈদের আনন্দ বহুগুণ বেড়ে গেছে। এর আগে চিড়িয়াখানায় অনেক বন্যপ্রাণী দেখেছি। অনেক ইচ্ছা ছিল সুন্দরবন এসে খোলা পরিবেশে বন্যপ্রাণী দেখার। ঈদ ও নববর্ষের ছুটি পেয়ে সেই ইচ্ছা পূরণ হলো। গাছ গাছালির ভেতর থেকে হেঁটে বনের আসল পরিবেশ উপভোগ করেছি। কচ্ছপ, কুমির, বানর, হরিণ এবং বিভিন্ন রকমের পাখি দেখে ভালো লাগছে।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে লম্বা সরকারি ছুটির কারণে করমজল পয়েন্টসহ সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য মানুষ আসছেন। ঈদের দিন থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনে ৫ হাজারের বেশি পর্যটক কেবলমাত্র করমজল পয়েন্ট থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছেন। অতিরিক্ত পর্যটকের আগমনে যাতে বনের পরিবেশ নষ্ট না হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের কর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়