ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৬ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে : আতিকুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৪  

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবার আগে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। আজকে যারা শিশু তারাই আগামী দিনের স্মার্ট নাগরিক। তাই সবাইকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা হবে।সোমবার ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগরভবনে আয়োজিত E-Tracker, GIS-Based Online Micro Planning & Real-Time Reporting অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  

আতিকুল ইসলাম বলেন, শিশুদের যদি যথাসময় টিকা দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে ছোট থেকেই তার সুস্থ-সবল থাকবে। এর জন্য যদি সিটি করপোরেশনের আরও ভ্যাকসিনেটর প্রয়োজন হয় সেটারও ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, এক সময় এই দেশে টিকাদান কার্যক্রম চালানো অনেক কঠিন ছিল। টিকাদানে বাংলাদেশ আজ সফলতা অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্জন করেছেন ভ্যাকসিন হিরো পুরষ্কার। এটাই বাংলাদেশ, এটাই দেশের সফলতা।
 
উল্লেখ্য, এই ডিজিটাল প্লাটফর্মের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন টিকাদান কর্মসূচিতে ইউনিসেফের সহযোগিতায় ই-ট্র্যাকার কার্যক্রম অক্টোবর ২০২৩ হতে এবং জিআইএস বেইজড অনলাইন মাইক্রোপ্ল্যান ও ডেইলি রিপোর্টিং জানুয়ারি ২০২৪ হতে সফলভাবে চলছে। ইপিআই কর্মসূচিকে অধিকতর সাফল্যমণ্ডিত করার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহযোগিতায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ২০১৮ সাল হতে কর্মজীবী মায়ের শিশুদের জন্য সান্ধ্যকালীন টিকাদান কর্মসূচি ও ২০২৩ হতে ফ্রাইডে সেশন পরিচালনা করা হচ্ছে।

২০২২ হতে ডিএনসিসিতে ৮৫ জন টিকাদান কর্মী ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাদের মাধ্যমে ১৭০টি টিকাদান কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২০২৩ সালে ৭৯ হাজার ৫৩২টি শিশু ও ২০২৪ সালে ৩৯ হাজার ৫৯১টি শিশু টিকাদান সেবা নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ভাসমান জনগোষ্ঠী ও বেদেসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে খুঁজে বের করে টিকা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের এই বিশাল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই ও এমআইএস বিভাগ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং এনজিওসমূহ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ ইমা ব্রিংহাম, ডব্লিউএইচওর টিম লিডার-আইভিডি ডা. রাজেন্দ্র বহরা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়