ঢাকা, মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

যে দেশের সমুদ্রসৈকতে গিয়ে ঝিনুক কুড়ালেও হয় জরিমানা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭:৫৫, ৬ এপ্রিল ২০২৪  

যে দেশের সমুদ্রসৈকতে গিয়ে ঝিনুক কুড়ালেও হয় জরিমানা

যে দেশের সমুদ্রসৈকতে গিয়ে ঝিনুক কুড়ালেও হয় জরিমানা

বিশ্বজুড়ে বহু সমুদ্রসৈকত আছে। প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ দেখতে ভিড় করেন বিভিন্ন সমুদ্রসৈকতে। অনেকেই সেই স্থানের স্মৃতি হিসেবে ঝিনুক, প্রবাল, বালি কিংবা নুড়ি পাথর সঙ্গে নিয়ে যান। তবে কেউ যদি ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের ল্যাঞ্জারোটে ও ফুয়ের্তেভেন্তুরাতে বেড়াতে গিয়ে এমনটি করেন তাহলেই বিপদে পড়বেন।

কারণ সেখানকার নিয়ম বেশ কড়া। এখানে সামান্য বালি-পাথরও যদি নিজের সঙ্গে নিয়ে যেতে গিয়ে ধরা পড়লে ভারি জরিমানা দিতে হয়। যদি কেউ সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তাহলে কয়েকটি তথ্য জেনে নিন।

বার্মিংহাম লাইভ অনুসারে, সেখানকার সমুদ্রসৈকত থেকে বয়ামে করে পাথর বা বালি সংগ্রহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কেউ যদি তা করেন তবে ৩০০০ ইউরো বা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে।

ক্যানারিয়ান উইকলি অনুসারে, ল্যাঞ্জারোটে প্রতি বছর তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ হারাচ্ছে। একই অবস্থা ফুয়ের্তেভেন্তুরাতেও বিদ্যমান। বিশেষ করে উত্তরে কোরালেজোর কাছে পপকর্ন বিচে ভ্রমণকারীদের মধ্যে পাথর তুলে নেওয়ার প্রবণতা এতটাই বেশি হয়ে গেছে যে তার ভয়ানক প্রভাব পড়ছে সেখানকার বাস্তুতন্ত্রে।

ল্যাঞ্জারোটে ও ফুয়ের্তেভেন্তুরা বিমানবন্দরের কর্মকর্তারাও এই ব্যাপারে অত্যন্ত কড়া। বিমানবন্দরে চেকিংয়ের সময় যাত্রীদের কাছ থেকে এই ধরনের জিনিস বাজেয়াপ্ত ও জরিমানাও করেন। অনেকেই অবশ্য অন্য সমুদ্রসৈকত থেকে তোলা হয়েছে বলে মিথ্যা বলে পার পেয়ে যান।

যদিও পপকর্ন বালি সনাক্ত করা খুবই সহজ। তাই বিমানবন্দরে কোনো যাত্রীর কাছে এসসব পেলে সেখানেও ৩০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ছোটো অপরাধের জন্য অবশ্য ১৫০ ইউরো থেকে ৬০০ ইউরোর মতো জরিমানা দিতে হয়। এই জরিমানার পরিমাণ নির্ভর করে যাত্রী কতটা পরিমাণ বালি চুরি করেছেন তার উপর।

স্থানীয়দের অভিযোগ এভাবে বালি-পাথর তুলে নিয়ে গেলে এলাকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে চলেছে। এই ক্ষতি রুখতে এই পর্যটনস্থলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে টেনেরিফ আইল্যান্ড ওয়াটার কাউন্সিল।

গত বছরের দাবানলের পর থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের উষ্ণতা অনেকটা বেড়ে গেছে। ১৯৬১ সালের পর চলতি বছর ছিল দ্বীপপুঞ্জের উষ্ণতম ফেব্রুয়ারি মাস। আর এসবের জন্য পর্যটকদেরকেই দায়ী করেন সেখানকার মানুষ।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়