প্রেমিককে বার বার কল? আপনি ‘লাভ ব্রেন’ রোগে আক্রান্ত
নিউজ ডেস্ক
প্রেমিককে বার বার কল? আপনি ‘লাভ ব্রেন’ রোগে আক্রান্ত
প্রেমে পড়া সুন্দর একটি অনুভূতি। এ সময় সব কিছু ভালো লাগে। পৃথিবী রঙিন লাগে। গবেষকদের মতে, বর্ধিত হৃৎস্পন্দন, ঘর্মাক্ত মুখমণ্ডল এবং ক্ষুধামান্দ্য-এসব কিছুই একজন মানুষের প্রেমে পড়ার লক্ষণ। সাইকোলজি বলে, মন তখন শুধু মনের মানুষেরই সঙ্গ চায়। ফোন কল থেকে অনবরত মেসেজ পর্যন্ত লাভ বার্ডস ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথাই বলে যান।
ঠিক একই কাজ করছিলেন চীনের এক নারীও। তার প্রেমের কারণে এমনই একটি ঘটনা ঘটে গেছে, যা জানার পর যে কেউ নিজের সঙ্গীকে দিনে একবারের বেশি কল করতে গিয়েই ভয় পাবেন।
১৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে, নাম জিয়াওউ লাভ ব্রেন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি নাকি প্রতিদিন শতাধিক বার নিজের প্রেমিককে কল করতেন, মেসেজ পাঠাতেন। তাদের প্রেমের শুরুটা ছিল মধুর। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে প্রেমে পড়েন তারা। এরপরেই প্রেমিকের প্রতি জিয়াওউর অনুভূতি অচিরেই পরিণত হয়েছিল আবেশে। সে সব সময় প্রেমিকে চাইত, প্রেমিকের মনোযোগ পেতে যা ইচ্ছে করতেন জিয়াওউ। প্রেমের খপ্পরে পড়ে তার এই অভ্যাস এতটাই মাত্রা ছাড়িয়েছিল যে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়; যা জিয়াওউ এবং তার প্রেমিক উভয়কেই সমস্যায় ফেলেছিল।
ইউয়েনিউ নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, চেংডুর চতুর্থ পিপলস হাসপাতালের ডাক্তার ডু না বলেছেন, জিয়াওয়ু তার প্রেমিককে দিনে ১০০ বারের বেশি ফোন করতেন। তার অনুভূতি এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে প্রেমিকের সঙ্গে কথা না হলে মেয়েটি রাগে ঘরের জিনিসপত্র ছুঁড়তে শুরু করতো, এমনকি নিজের ক্ষতি করারও হুমকি দিত।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়েটি ক্রমাগত ভিডিও কল করে তার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছেন। এটা খুবই বিরক্তিকর। এই আবেগ কিন্তু গভীর মানসিক সমস্যার দিকেও নির্দেশ করে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এমনটাই।
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, জিয়াওউ তার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বছরে এই ধরনের আচরণ প্রদর্শন করা শুরু করেছিল। নিজের বয়ফ্রেন্ডের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল সে এবং প্রেমিকের অবস্থান এবং তিনি কী করছেন সে সম্পর্কে আপডেটের জন্য তাকে ক্রমাগত কল করত। মেয়েটির এই আচরণের কারণে প্রেমিক চাপ অনুভব করতে থাকে এবং ধীরে ধীরে এই কারণটি তাদের সম্পর্কের চরম উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এতে জিয়াওয়ুর প্রেমিক ভয় পেয়ে নিজের নিরাপত্তার জন্য পুলিশকে ফোন করেছিল। পুলিশ অফিসার আসার পর জিয়াওয়ু তার প্রেমিকের বারান্দা থেকে লাফ দেওয়ার হুমকিও দেন।
লাভ ব্রেন কী
দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেয়েটিকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জিয়াওয়ুর বর্ডারলাইন পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার ধরা পড়েছিল, যা সাধারণ ভাষায় ‘লাভ ব্রেন’ নামে পরিচিত।
ডাক্তার ডু বলেছেন, এই রোগটি অমীমাংসিত শৈশবকালীন আঘাতের কারণে হতে পারে। এর সঙ্গে অন্যান্য মানসিক সমস্যা যেমন উদ্বেগ এবং বিষণ্নতাও দেখা দিতে পারে। জিয়াওয়ুর কেসটি নিয়ে অনলাইনে এখন অনেক আলোচনা শুরু হয়েছে।
- কিস ডে, কী কী কারণে চুমু খাওয়া হয় জানেন?
- শীতে ত্বকের শুষ্কতা দূর করার উপায়
- স্বামী হিসেবে সেরা যে ৫ গুণের পুরুষরা
- গরমে ছোটদের চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে
- ডাল খেলেই কমবে ওজন
- মাল্টা খেলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকাংশে বেড়ে যায়
- ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা দুধ
- ওষুধ ছাড়াই কমবে পিরিয়ডের ব্যথা, শুধু খেতে হবে বিশেষ চা
- সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস ‘অরগাঞ্জা’
- ঘরেই তৈরি করুন চকলেট