ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস ‘অরগাঞ্জা’

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ৫ ডিসেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এই শাড়ি খুব হালকা ওজনের হয়। এটি শিয়ার, প্লেইন কিংবা উভেন ফ্যাব্রিক। অরগাঞ্জা মূলত সিল্ক থেকে তৈরি হয়ে থাকে। অরগাঞ্জা শাড়ির জয়জয়কার এখন সবখানে। উৎসবে নিজেকে সাজানোর জন্য এটি হতে পারে দারুণ চয়েজ। কারণ এ শাড়ি খুবই হালকা এবং আরামদায়ক হয়। একই সঙ্গে সিম্পলের ভেতর গর্জিয়াস।  খাঁটি সিল্কের চেয়ে এ ধরনের অরগাঞ্জা বেশি টেকসই এবং সহজলভ্য হয়ে থাকে। এই শাড়ির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, বেশি পাতলা, সহজে কুঁচকে বা ছিঁড়ে যাওয়া যায় না।বায়ু শোষণের ক্ষমতা বেশি।

>> এই শাড়ির একটি ধরন হচ্ছে ক্রিস্টাল। এটি বেশ জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত। ক্রিস্টাল সাধারণত নরম এবং হালকা ওজনের। এই শাড়ি উজ্জ্বল। সিল্কের পাশাপাশি সিনথেটিক ফাইবার দিয়েও তৈরি হয়ে থাকে অরগাঞ্জা ক্রিস্টাল। ব্রাইডাল ওয়্যার এবং ইন্টেরিয়র ডেকোরেটিং ছাড়াও আরও অনেক কিছুতে ক্রিস্টাল অরগাঞ্জা ব্যবহৃত হয়।

>> এই শাড়ির একটি ধরন হচ্ছে মিরর। এটি পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি এবং সব অরগাঞ্জার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল। এতে খুব ভালোভাবে আলো প্রতিফলিত হতে পারে।

>>সাটিন হচ্ছে অরগাঞ্জার সবচেয়ে মসৃণ এবং চকচকে। অরগাঞ্জার মতো ক্রিস্প ড্রেপিংয়ের বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। প্রায় সব ধরনের পোশাক তৈরির জন্য উপযুক্ত।

>>ক্রাশড সবচেয়ে ইউনিক কোয়ালিটির ফ্যাব্রিকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর রিংকেলড বা কুঁচকানো টেক্সচারের জন্য এটি অন্য অরগাঞ্জা থেকে আলাদা বিশেষত্ব তৈরি করে।

>> এই বিশেষ ধরনের অরগাঞ্জা বানাতে বিভিন্ন রঙের সিল্কের সুতা ওয়ার্প এবং ওয়েফ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মাল্টিকালারড ফিনিশ গোধূলি বা নর্দান আলোর মতো রঙের গ্রেডিয়েন্ট তৈরি করে।

>>এমব্রয়ডারড ক্রিস্টাল বা মিরর অরগাঞ্জার ওপর সূচিকর্ম সংযোজন করে এই ফ্যাব্রিক তৈরি। এমবেলিশমেন্ট হিসেবে রাইনস্টোনস, সিকুইন, বিভিন্ন রকমের সুতা ব্যবহার করার প্রবণতা আছে। যেকোনো ধরনের লাক্সারিয়াস পোশাক তৈরিতে এ ধরনের অরগাঞ্জা বেশি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।

>>প্রিন্টেড অরগাঞ্জা হচ্ছে ক্রিস্টাল, মিরর এবং ক্রাশড অরগাঞ্জার ওপর ডিজিটাল প্রিন্টের মাধ্যমে এটি তৈরি হয়। এই ফ্যাব্রিকে ফ্লোরাল প্রিন্ট সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এখন অবশ্য ক্যাজুয়াল ড্রেসে পোলকা ডট এবং ফ্রুট প্রিন্টের ব্যবহারও হচ্ছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়