ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

‘নায়াগ্রা ফলস’ এর মতোই সুন্দর ভারতের এই জলপ্রপাত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:০৭, ২৫ মার্চ ২০২৪  

‘নায়াগ্রা ফলস’ এর মতোই সুন্দর ভারতের এই জলপ্রপাত

‘নায়াগ্রা ফলস’ এর মতোই সুন্দর ভারতের এই জলপ্রপাত

নায়াগ্রা ফলস এর সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। আর এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডায় ভিড় করেন পর্যটকরা। তবে যাদের সেসব দেশে গিয়ে নায়াগ্রা ফলস দেখার সুযোগ নেই, তারা চাইলে পাশের দেশে ভারত গিয়েই প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।ভারতের জগদলপুরে গিয়ে আপনি অবাক বনে যাবেন, সেখানকার বর্ষার পরে সবুজে মোড়া পাহাড়, জঙ্গল, নদী, জলপ্রপাত দেখে। জগদলপুরের আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে চিত্রকূট জলপ্রপাতে। ৩৮ কিলোমিটার দূরে ইন্দ্রবতী নদীতে অবস্থিত চিত্রকূট জলপ্রপাত।

জগদলপুরের একদম পশ্চিমে এই জলপ্রপাতের অবস্থান। ইন্দ্রবতী নদী ঘোড়ার খুড়ের মতো আকারের সংকীর্ণ পথ পেরিয়ে এসে ৯৫ ফুট উচ্চতা থেকে উলম্বভাবে পড়েছে নীচে। জলপ্রপাতের সৌন্দর্যের কারণেই চিত্রকূট ভারতের নায়গ্রা বলা হয়।

বর্ষাকালেই এই ‘ভারতীয় নায়গ্রা’র ভয়াবহ রূপ দেখা দেয়। তবে অক্টোবরে বেড়াতে গেলেও নিরাশ হবেন না। চিত্রকূট থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে আছে চিত্রধারা। চিত্রধারা জলপ্রপাতকে ‘মিনি তীর্থগড়’ও বলা হয়। এছাড়া এখানে দেখে নিতে পারেন বস্তার প্রাসাদ, দলপত সাগর, অ্যানথ্রোপলজিক্যাল মিউজিয়াম ইত্যাদি।জগদলপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে তীর্থগড় জলপ্রপাত। কাঙ্গের ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে অবস্থিত এই জলপ্রপাত। তারই ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কটোমসর গুহা। অক্টোবরে এখানে গেলে রয়েছে জঙ্গল সাফারির সুযোগ। জগদলপুরের পশ্চিমে, ৪৪ কিলোমিটার দূরে আছে মেন্দ্রী ঘুমার জলপ্রপাত।

‘দ্য ফগ ভ্যালি’ উপত্যকার কোলে ৭০ মিটার উঁচু দিয়ে লাফিয়ে পড়ছে জল। এছাড়া আরও প্রায় ৫০ কিলোমিটার গেলে দেখতে পারেন তামার ঘুমার জলপ্রপাত। এখানেও নদীর জল ১০০ ফুট উচ্চতা থেকে পাহাড়ের গা বেয়ে আছড়ে পড়ছে উপত্যকার উপর।

এছাড়া সেখানে আছে বিজাকাশা, টোপার, মান্ডওয়া নামে একাধিক জলপ্রপাত। সবগুলোই পাহাড় উপর, জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। জলপ্রপাত ছাড়াও কাঙ্গের ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে আছে কয়েকটি গুহা। সেগুলো জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বন্ধ থাকে।

বর্ষা চলে গেলেই আবার সেখানে পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করে। কোটুমসার, দণ্ডক, কৈলাশ, মাদারকোন্টার মতো একাধিক গুহা আছে এই অঞ্চলে। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন দান্তেশ্বরী ও বালাজির মন্দির।

কীভাবে যাবেন ও কোথায় থাকবেন?

হাওড়া থেকে কোরাপুট এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা জগদলপুর পৌঁছে যেতে পারেন। এছাড়া বিশাখাপত্তনম হয়ে কিরনডুল প্যাসেঞ্জারেও জগদলপুর স্টেশনে নামা যায়। চাইলে রায়পুর থেকেও গাড়িতে জগদলপুর পৌঁছে যেতে পারেন।

জগদলপুরের বাজারের কাছে একাধিক হোটেল পেয়ে যাবেন। এছাড়া দান্তেশ্বরী মন্দির, বস্তার প্যালেস, দলপত সাগরের আশেপাশে অনেক থাকার জায়গা আছে। সেখানেও রাত কাটাতে পারেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়