ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঢেলে সাজানো হচ্ছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:০০, ২ জুলাই ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নানা উপকরণ ও প্রযুক্তির সংযোজন ঘটানো হয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে।

এরইমধ্যে লাইব্রেরিতে যুক্ত করা হয়েছে বেশকিছু উন্নত প্রযুক্তির কম্পিউটার ও মেশিন। সম্প্রতি লাইব্রেরিতে বসানো হয়েছে দুটি RFID Tag সংবলিত  KIOSK মেশিন। এ ধরনের ইন্টারনেট কানেক্টেড ডিভাইসে সার্চ করে জানা যাবে লাইব্রেরিতে পছন্দের বই আছে কিনা। এছাড়া জানা যাবে বইয়ের সংখ্যা ও কত কপি আছে। এছাড়াও দেখা যাবে বইয়ের কল নাম্বার (এই নাম্বার অনুসারে শেলফে বই সাজানো থাকে)। আরো আছে RFID সিকিউরিটি গেট। যার মধ্য দিয়ে লাইব্রেরি থেকে বের হওয়ার সময় বই ইস্যু না করে নিয়ে গেলে সংকেত প্রদান করতে সক্ষম। 

সম্প্রতি কোহা (KOHA) নামক অনলাইন বেসড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরা বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে লাইব্রেরিতে কি কি তথ্য আছে তা সহজেই খুঁজে নিতে পারবেন এবং বই ইস্যু-রিটার্নের কাজগুলো সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে অটোমেটেড পদ্ধতিতে সম্পাদন করতে পারবেন। এছাড়াও লাইব্রেরিতে বর্তমান বইয়ের সংখ্যা মোট ১৬ হাজার ১৮৫ ও জার্নাল সংখ্যা ৪৭২।

শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির ডিজিটাল স্মার্টকার্ড দিয়ে সেলফ চেকআউট মেশিনের মাধ্যমে বই ইস্যু করা ও ফেরত দিতে পারবে। এক্ষেত্রে বই জমা প্রদানের সময় কেউ চাইলে বইয়ের জমা রশিদ মেশিনের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারবে। একজন শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরির ডিজিটাল স্মার্ট  কার্ড পেতে হলে লাইব্রেরির একাউন্ট নম্বরে ১২০ টাকা প্রদান করে লাইব্রেরি ভবনের ২০৪ নং কক্ষ থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে হবে। কারেন্ট চলে গেলে ও বই নেয়া যাবে সেক্ষেত্রে বইয়ের নাম ও শিক্ষার্থীর কার্ড নম্বর উল্লেখ করলে তা লাইব্রেরিতে দায়িত্বরত ব্যক্তি সেই তথ্য সংরক্ষণ করে বই প্রদান করবে।

যবিপ্রবির গ্রন্থাগারিক স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাইব্রেরিকে ঘিরে তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে বলেন, লাইব্রেরিকে ঘিরে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। ভবনটিতে বেশকিছু বিভাগের পাঠদান কার্যক্রম চলছে ফলে বর্তমানে এই ভবনের পুরোটা আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। দ্বিতীয় একাডেমিক ভবনটির কাজ সম্পন্ন হলে পাঁচতলা লাইব্রেরির প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা পর্যন্ত লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো। বর্তমানে ভবনটির প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আগামী অর্থবছরের বাজেট পাশ হলে আমরা লাইব্রেরিতে টাইলস ও এসি লাগাবো। আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যেমন: বঙ্গবন্ধু কন্যা রিডিং রুম স্থাপন, স্টক রুম, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা ক্যারিয়ার কর্নার স্থাপন, আলাদা পত্রিকা ও সাময়িক শাখা স্থাপন, জার্নাল শাখা, ফটোকপি শাখা, রেফারেন্স বুক কর্নার, লাইব্রেরিকে আকর্ষণীয় করতে আধুনিক বুক শেলফ স্থাপন, লেখাপড়ার উত্তম পরিবেশ সৃষ্টি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ এর ব্যবস্থা করা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস, ভবিষ্যতে লাইব্রেরি খোলা ও বন্ধ থাকার সময়সীমা বাড়ানোসহ শিক্ষার্থী অনুপাতে পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়