ঢাকা, রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

যমুনার চরে ৫৫০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদনের আশা কৃষকের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ৪ মার্চ ২০২৪  

যমুনার চরে ৫৫০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদনের আশা কৃষকের

যমুনার চরে ৫৫০ কোটি টাকার মরিচ উৎপাদনের আশা কৃষকের

বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে যমুনা নদী। নদীর বুকে মাইলের পর মাইল বিশাল চর। পরিত্যক্ত সেই চরগুলোতে চাষ হচ্ছে লাল মরিচ। সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা উপজেলায় কৃষকের উঠানে, টিনের চালে, যমুনা বেড়িবাঁধে শুধু মরিচ আর মরিচ। এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মরিচ শুকানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। বগুড়ার এই লাল মরিচের বিশেষ সুখ্যাতি থাকায় মসলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো মরিচ ওঠার আগেই কৃষকদের বুকিং দিয়ে থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি অফিসার ফরিদ উদ্দিন জানান, এবার প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার শুকনো ও ২০০ কোটি টাকার কাঁচামরিচ উৎপাদন হবে। বর্তমান বাজারের চেয়ে দাম বাড়লে তা হাজার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যাবে।

সরেজমিন সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল ঘুরে দেখা যায়, মরিচ নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। ক্ষেতের পাকা মরিচ তুলতে ব্যস্ত শত শত নারী-পুরুষ শ্রমিক। এ ছাড়া জেলার গাবতলী, সোনাতলা, শাজাহানপুর ও ধুনটেও মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। পলি পড়া চরে মরিচেই ভাগ্য ফিরেছেন মরিচচাষিদের। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের

তথ্যমতে, জেলায় এ বছর ছয় হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৫২৫ টন মরিচ। এর মধ্যে সাড়ে সাত হাজার টন শুধু শুকনো মরিচ পাওয়া যাবে।

স্থানীয় বাজারগুলো ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি শুকনো মরিচ সাড়ে ৩০০ টাকা থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মরিচের দাম। সে ক্ষেত্রে মরিচের দাম হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন মসলা কোম্পানি মরিচ কেনার জন্য কৃষকদের আগাম অর্থ দিয়েছে। তারা ভালো জাতের মরিচ সংগ্রহ করতে সারিয়াকান্দির চরে ডেরা বেঁধেছে। কোম্পানির লোকজন শুকনো মরিচ সংগ্রহে বেশ ব্যস্ত। চরচালুয়াবাড়ির কৃষক আজমল হোসেন জানান, মসলা কোম্পানিগুলো এখানে আসায় দুর্গম চর থেকে আর সারিয়াকান্দি গিয়ে মরিচ বিক্রি করতে হয় না। চর ময়ূরীর কৃষক হামিদ জানান, কোম্পানিগুলো আমাদের উঠান থেকে বস্তাভর্তি করে মরিচ নিয়ে যাচ্ছে। এতে কষ্ট লাঘব হচ্ছে।

ঢাকা থেকে মরিচ কিনতে আসা স্কাই ট্রেডের প্রতিনিধি খালেদ সিদ্দিকী জানান, সারাদেশের মধ্যে বগুড়ার মরিচ স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। তাই কৃষকদের আগেই কিছু টাকা দিয়ে রাখি। সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম জানান, মরিচের জন্য বিখ্যাত সারিয়াকান্দিতে বরাবরের মতো এবারও মরিচের আবাদ বেশ ভালো হয়েছে। বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মরিচ চাষেয কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়