ঢাকা, রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২২ ১৪৩১

বরগুনায় লবণাক্ত জমিতে ছয় কোটি টাকার সবজি উৎপাদন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

বরগুনায় লবণাক্ত জমিতে ছয় কোটি টাকার সবজি উৎপাদন

বরগুনায় লবণাক্ত জমিতে ছয় কোটি টাকার সবজি উৎপাদন

বরগুনার তালতলীর সওদাগরপাড়া গ্রামের ২শ হেক্টর জমিতে এক সময় লবণাক্ততার কারণে শুধু বর্ষা মৌসুমে ধানের চাষাবাদ হতো। বছরের বাকিটা সময় দিনমজুরি দিয়েই সংসার চালাতেন স্থানীয়রা। কিন্তু এখন সেখানে বছরব্যাপী নানা ধরনের ছয় কোটি টাকার বেশি সবজি উৎপাদিত হয়। এতে সুদিন ফিরেছে ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের।

কৃষকরা জানান, শুধু বর্ষা মৌসুমে ধানের চাষ করে তেমন লাভবান না হওয়ায় ১০ বছর আগে কৃষক শাহাদাত মাতুব্বর সবজি চাষ করে সফলতা পান। তার সাফল্য দেখে ধীরে ধীরে গ্রামের অন্যরাও সবজির চাষ শুরু করেন। এখানকার সবজি উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে পাইকাররা এখন ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে বড় বড় বাজারে চালান করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে শোভা পাচ্ছে সারি সারি লাউ, শিম, মরিচ, করলা, মুলা, বেগুন, কুমড়া, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গোলআলু, মিষ্টি আলুসহ বিভিন্ন শাকসবজি। এসব ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আবার নারী শ্রমিকরা সবজি তুলছেন আর পুরুষ শ্রমিকরা প্যাকেটজাত করে গাড়িতে তুলছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে এ কর্মযজ্ঞ।

সওদাগরপাড়া গ্রামের কৃষক মিজান পঞ্চায়েত বলেন, আগে শুধু ধানের চাষ হতো। তখন প্রায় ঘরেই ছিল অভাব। এখন সবজি চাষের কারণে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মাঠে কাজ করেন। এতে অভাব ঘুচে গেছে চাষিদের। আরেক কৃষক হেলাল মিয়া বলেন, এবার ১ বিঘা জমিতে শিম ও মরিচের চাষ করেছি। খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা; বিক্রি করেছি দেড় লাখ টাকা। টুটুল মিয়া বলেন, ৩ বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছি। দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ লাখ টাকা বিক্রি করেছি।

সওদাগরপাড়া আদর্শ কৃষি সমিতির সভাপতি মো. শাহাদাত মাতুব্বর বলেন, এই গ্রাম থেকে প্রতিদিন ৬শ-৭শ মণ সবজি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর কারণে পাইকাররা ক্ষেত থেকে সবজি সংগ্রহ করে বড় বড় বাজারে চালান করেন। গত বছর প্রায় ৫ কোটি টাকার সবজি বিক্রি হয়। এ বছর বাজারদর ও ফলন ভালো হওয়ায়

৬ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হবে। কৃষি বিভাগ বিদেশে রপ্তানির সুযোগ করে দিলে আরও বেশি লাভবান হতাম।

তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. রাসেল বলেন, এ বছর তালতলীতে ৮শ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজি চাষে প্রদর্শনী ও প্রণোদনার মাধ্যমে সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষকরা ভালো মুনাফা অর্জন করবে। কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়