দলছুট হনুমান সখ্যতা গড়েছে মানুষের সঙ্গে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চলছে বর্ষাকাল। এলাকায় চারপাশে পানি আর পানি। প্রকৃতির পরিবর্তনের ফলে বন্য প্রাণীরা এখন খাদ্যের সংকটে পড়েছে। তা ছাড়া বন-জঙ্গলের পরিসর সীমিত হয়ে আসায় এসব প্রাণী খাদ্যের সন্ধানে চলে আসছে লোকালয়ে।নওগাঁর রাণীনগরে দলছুট একটি হনুমানকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে দেখা গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের কুজাইল বাজারসহ বিভিন্ন গ্রামে ঘোরাফেরা করছে হনুমানটি।বড় আকারের এই হনুমানটি কখনো গাছে, আবার কখনো বাড়ির চালে বা ছাদে ঘোরাফেরা করছে। বন্যপ্রাণী হঠাৎ লোকালয়ে চলে আসায় উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করছেন। তবে যাদের বাড়ির টিন বা ছাদে অবস্থান করছে তারা রয়েছেন আতঙ্কে। আবার কেউ কেউ আদর করে মুখে তুলে দিচ্ছেন খাবার। তাই অনেকে কৌতূহল করে বলছেন মানুষের সাথে হনুমানটি সখ্যতা গড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর কুজাইল নমঃশূদ্র পাড়ার নরেশ সরকারের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় হনুমানটি। সেখানে সুশিল, সবিতাসহ অনেকে হনুমানটিকে আদর করে খাওয়াচ্ছেন। এসময় ছোট বাচ্চাদের আনন্দ করতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা বলছেন, গত ২-৩ মাস ধরে মুখপোড়া এই হনুমানটি কুজাইল বাজার এবং আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘোরাফেরা করছে। হনুমানটি কখনও গাছে, আবার কখনও মানুষের মাঝে চলে যাচ্ছে। হঠাৎ করেই লোকালয়ে আসা তার ছোটাছুটি দেখতে ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন। ফলে প্রাণের ভয়ে বারবার নিজের স্থান পরিবর্তন করছে হনুমানটি। তবে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে বেশ সখ্য গড়ে তুলেছে হনুমানটি। গাছের ডালে, ঘরের চালে অথবা বাড়ির ছাদে অবস্থান করছে। আবার প্রতিদিন কারো না কারো বাড়িতে অবস্থান করছে। তবে সে কোথায় থেকে এসেছে নিশ্চিত করে কেউ কিছু বলতে পারছে না।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হনুমানটি বিকাশ প্রামানিকের বাড়ির বারান্দায় চলে আসে। তৃষ্ণা মিটাতে বালতিতে রাখা পানি পান করছিল এটি। দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মেধা বসাক বললো, এলাকায় অনেকবার দেখেছি। আমি কখনো ভাবিনি বাড়িতে চলে আসবে। তাই একটু ভয় পেয়েছি। আবার আনন্দও লাগছে। তাকে দেখার জন্য পাশের সুশিলদের বাড়িতে এসেছি।

হনুমানকে ময়দা গুলিয়ে খাবার দেওয়া সুশিল সরকার ও সবিতা রাণী জানালেন, সাধারণত হনুমান দেখা যায় না। তার উপর আবার বাড়িতে এসেছে। মূলত খাবারের সন্ধানে এটি মানুষের কাছে ছুটে এসেছে। অবুঝ প্রাণীটি যেহেতু বাড়িতে চলে এসেছে তাই খাবার দিচ্ছি।