ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চাঁদের উপহার

শিল্প ও সাহিত্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৯, ১৬ জুন ২০২২  

প্রতীকী

প্রতীকী

লক্ষ লক্ষ বছর ধরে চাঁদ পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করে আসছে। নিবিড়ভাবে এবং অন্য যে কারও চেয়ে দীর্ঘকাল যাবত। ঘটমান সকল বিষয়সহ পৃথিবীপৃষ্ঠে ইতিপূর্বে সংঘটিত সকলকিছুই সে দেখেছে। কিন্তু তারপরেও সে চিরন্তনভাবে নীরব। কোনো গল্পই আমরা তার কাছ থেকে শুনতে পাই না। আসলে যা সে করছে, তা হলো পৃথিবীর সকল বিদগ্ধ ইতিহাসমালাকে আলিঙ্গন করে আছে নিজের নৈর্ব্যক্তিক বিযুক্তি দিয়ে। চাঁদের পিঠের ওপরে বাতাস বা বায়ুপ্রবাহ নেই। এর শূন্যতা অতীতের স্মৃতিগুলোকে অবিকৃতভাবে সংরক্ষণ করার জন্যে খুবই উপযোগী। কোনো মানুষের সাধ্য নেই তার মনের অর্গল খুলে ফেলার।

এওমামে জানালার কাঁচ ওপরের দিকে তুলে দিয়ে  চাঁদের পানে তাকাল এবং জিজ্ঞেস করল, “অতীত বা নিকট অতীতে তুমি কি কখনো কারো বাহুলগ্না হয়ে শুয়েছ?”

চাঁদ কোনো উত্তর করল না। 
“তোমার কি কোনো বন্ধু আছে?” সে আবার জিজ্ঞেস করল। 
চাঁদ উত্তর দিলো না।

“সারাক্ষণ এরকম শান্ত হয়ে চুপটি করে থাকতে ক্লান্তি বোধ করো না তুমি?
 চাঁদ এবারেও কোনো উত্তর করল না।

“এওমামে চাঁদকে কিছু দিয়েছে কিনা সে সম্পর্কে টেংগোর ধারণা নেই। তবে সে ভালোভাবেই বুঝতে পারল, চাঁদ তাকে কী দিয়েছে। চাঁদ এওমামেকে দিয়েছে দুটো জিনিস- পবিত্র নির্জনতা ও নিরবচ্ছিন্ন শান্তি।
এগুলোই হলো সবচেয়ে ভালো জিনিস,  যা চাঁদ একজন মানুষকে দিতে পারে। উপহার হিসেবে।”

সর্বশেষ
জনপ্রিয়