ঢাকা, রোববার   ০৫ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২১ ১৪৩১

কৃষিতে বড় ভূমিকা রাখছে ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩  

কৃষিতে বড় ভূমিকা রাখছে ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্প

কৃষিতে বড় ভূমিকা রাখছে ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্প

বরিশালে ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষিতে বড় ভূমিকা রাখছে টেকসই ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্প। জেলার আটটি উপজেলায় ৫৪টি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছে ৩২ হাজার ৪০০ কৃষক। প্রকল্পের মাধ্যমে জেলার ৫৪ হাজার হেক্টর জমি তিন ফসলি জমিতে এখন তিনটি ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। বরিশাল জেলায় ১৯৯৯ সালে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়, যা চারটি ধাপে কার্যক্রম শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি বরিশাল জেলার আটটি উপজেলায় চলমান। এক একটি প্রকল্পে এক হাজার হেক্টর জমি ও ৬০০ কৃষক নিয়ে সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে সেচ কার্যক্রম। খালখনন, অফিস ভবন, আসবাবপত্র, টিউবওয়েল স্থাপন, বেড়িবাঁধ, পাইপ স্লুইসগেট ও রেগুলেটর স্থাপন করা হয়েছে। সরকার প্রতিটি প্রকল্পে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

বরিশাল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘টেকসই ক্ষুদ্রাকার সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বরিশালের ৫৪ হাজার হেক্টর জমিকে তিন ফসলি জমিতে রূপ দেয়া হয়েছে, যা আগে এক ফসলি ছিল। ফলে এ অঞ্চলের কৃষক ভালো ফলনের পাশাপাশি দ্বিগুণ ফসল ফলাচ্ছে সেই জমিতে। এলজিইডি এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দিচ্ছে মাত্র। কৃষক নিজেরাই সমিতি গঠন করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। আমরা শুধু তদারক করছি। বাকেরগঞ্জে একটি সমিতির ঘর দখল করে বসবাসের বিষয়ে শুনেছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।’

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার আটটি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক প্রকল্পের সুবিধার আওতায় এসেছে। বরিশাল সদর উপজেলায় পাঁচটি সমবায় সমিতি রয়েছে। এছাড়া বাকেরগঞ্জে ১৭টি, মেহেন্দীগঞ্জে ছয়টি, মুলাদীতে সাতটি, গৌরনদীতে চারটি, উজিরপুরে দুটি, বানারীপাড়ায় চারটি সমবায় সমিতি রয়েছে।

প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. আলী ইমাম অনি বলেন, ‘কৃষকদের চাহিদার অনুকূলে আমরা তাদের জমি চাষাবাদের উপযোগী করতে সেচ সুবিধার পাশাপাশি জলাবদ্ধতা নিরসনে বাঁধ নির্মাণ করে দিয়েছি। তারা এখন এক ফসলি জমিতে তিনটি ফসল ফলাচ্ছে।’

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার ভাসানচর ইউনিয়নের চিলমারী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মাস্টার মো. আবুল বাশার গাজী বলেন, ‘এক সময় আমাদের এলাকায় বর্ষায় জলাবদ্ধতা ও শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকত না। তখন জমিতে বছরে মাত্র একবার ফসল ফলাতে পারতাম। প্রকল্পটির অধীনে বেড়িবাঁধ পেয়েছি, খাল পেয়েছি, খালে পানি ধরে রাখতে পাইপ স্লুইসগেট ও রেগুলেটর পেয়েছি। এখন এক ফসলি জমিতে তিন ফসল ফলাতে পারছি।’

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়