হেঁটে যে রাস্তা আজও শেষ করতে পারেনি কেউ
ভ্রমণ ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত
এই বিশাল গ্রহে অনেক অনাবিষ্কৃত স্থান আছে, যেখানে মানুষ এখনো পৌঁছাতে পারেনি। পৃথিবীজুড়ে এমন অনেক স্থান আছে যা রহস্যে ঢাকা।
তেমনই এক রহস্যময় রাস্তা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন থেকে রাশিয়ার পূর্ব দিকের মাগাদান বন্দর শহর পর্যন্ত। জানা যায়, বিশ্বের দীর্ঘতম হাঁটাযোগ্য দূরত্ব এখনো অন্বেষণ করা হয়নি। এত লম্বা পায়ে হেঁটে কোনো মানুষ কখনো যায়নি।
এই দুটি গন্তব্যের মধ্যে দূরত্ব ২২ হাজার ৩৮৭ কিলোমিটার। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভ্রমণকারীদের ফ্লাইট, ফেরি বা নৌকার প্রয়োজন না নয়।
এই পথের যাত্রীরা আফ্রিকার মাধ্যমে ভ্রমণ করতে পারে। এমনকি সুয়েজ খাল পেরিয়ে তুরস্ক, মধ্য এশিয়া তারপর সাইবেরিয়া হয়ে রাশিয়া যেতে পারে।
শুধু এই অঞ্চলগুলো নয়, সব ঋতু ও আবহাওয়ার অবস্থার কথা মাথায় রেখে ভ্রমণকারীরা ১৭টি দেশ অতিক্রম করতে পারবেন এই পথ ধরেই।
এই পথের একমাথা থেকে অন্যমাথায় বিরতিহীন হেঁটে পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে ৪ হাজার ৪৯২ ঘণ্টা অর্থাৎ ১৮৭ দিন। তবে আপনি যদি দিনে ৮ ঘণ্টা হাঁটেন তাহলে এই পথ শেষ হতে সময় লাগবে ৫৬২ দিন।
মোটকথা একজন ব্যক্তির এই পথে হেঁটে পৌঁছাতে কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। এই দীর্ঘতম পথে হাঁটার অভিজ্ঞতা হতে পারে ১৩ বার মাউন্ট এভারেস্টের উপরে ও নীচে ভ্রমণে সমতুল্য।
জানলে অবাক হবেন, এখন পর্যন্ত কোনো মানুষই এ ধরনের ভ্রমণে যাওয়ার সাহস করেনি। এই হাঁটা একটু বিপজ্জনক হতে পারে ও কিছু এলাকা বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলের অধীনে পড়ে।
শুধু তাই নয়, ভিসা সীমাবদ্ধতা এখানে একটি বড় অপূর্ণতা। এছাড়া আবহাওয়ার অনুকূলে নাও থাকতে পারে ভ্রমণকালে।
‘দ্য পটেনশিয়াল লংগেস্ট ওয়াকেবল রোড’ এর অধীনে এই রুটটি অনেক আগেই একজন রেড্ডিট ব্যবহারকারী শেয়ার করেন। এরপর তার পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়।
- পৃথিবীর নজরকাড়া যে স্থাপত্য দেখলে চোখ হবে ছানাবড়া
- ৫০ দিনে যেভাবে বদলে গেল কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
- স্পন্সরের টাকায় বিশ্বভ্রমণ করতে চাইলে
- এক ভিসাতেই ৯ মাস থাকা যাবে থাইল্যান্ডে
- বাংলাদেশের ১৭টি পাঁচ তারকা হোটেল চিনে নিন
- ভ্রমণ কাহিনি: কোরিয়ার জেজু দ্বীপ যেন স্বর্গরাজ্য
- নৈসর্গিক এক জনপদের নাম নেত্রকোনা
- টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন গেল পর্যটকবাহী দুই জাহাজ
- ছেঁড়া দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
- অল্প সময়েই পুনরায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পর্যটনখাত