ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

রংপুরে ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩  

রংপুরে ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা

রংপুরে ১৬১ কোটি টাকা ব্যয়ে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা

রংপুরে ১৩ বছরে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়নে ১৫টি প্রকল্পের কাজ করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। ১৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পগুলোর মধ্যে কোনোটির কাজ শেষ হয়েছে আবার কোনোটি চলমান রয়েছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রকৌশলী পঙ্কজ কুমার সাহা জানান, বিশেষ গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নলকূপ স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা। এই প্রকল্পের কাজটি ২০০৯ সাল থেকে ১৫ সালের মধ্যে শেষ হয়েছে।

পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি ২০১৫ সাল থেকে এক বছরের মধ্যে শেষ হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নলকূপ ও পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়। ১৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটি ২০১৮ সালে শুরু হয়ে চার বছরে তা শেষ করা হয়।

নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নলকূপ, সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত পানির উৎস, কমিউনিটি বেসড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম ও গ্রামীণ পাইপড স্কিম স্থাপন করা হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ৮ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটির ৭০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় অগভীর নলকূপ ও একতলা বিশিষ্ট ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়। ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটির কাজ ২০১২ সালে শুরু হয়ে ২০১৮ সালে শেষ হয়।

পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত পানির উৎস তৈরি ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়। ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

জিপিএস-১ প্রকল্পের আওতায় সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত পানির উৎস তৈরি ও দ্বিতল বিশিষ্ট ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়। ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজটি শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরই মধ্যে ৮৫ ভাগ কাজের অগ্রগতি হয়েছে।

এনএনজিপিএস-১ প্রকল্পের আওতায় সাবমার্সিবল পাম্পযুক্ত পানির উৎস তৈরি ও দ্বিতল বিশিষ্ট ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়। ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

বিআরডাব্লিউএসএসপি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন ধরনের নলকূপ ও টয়লেট স্থাপন করা হয়। ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। তিন বছরে এই প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে।

জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের (দ্বিতীয়পর্ব) আওতায় স্বল্পমূল্যে ল্যাট্রিন ও কমিউনিটি টয়লেট স্থাপন করা হয়। ২০০৯ সাল থেকে ১৫ সালের মধ্যে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

জাতীয় স্যানিটেশন প্রকল্পের (তৃতীয়পর্ব) আওতায় স্বল্পমূল্যের ল্যাট্রিন, কমিউনিটি টয়লেট ও পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হয়। ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২০২২ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

‘৩৭ জেলা শহরে পানি সরবরাহ প্রকল্পে’র আওতায় প্রডাকশন টিউবওয়েল, টেস্ট টিউবওয়েল, পাইপলাইন ও হাউস কানেকশন দেওয়া হয়। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজটি ২০১২ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০২২ সালে।

রংপুর জেলার পীরগঞ্জ পৌরসভার পানি সরবরাহ ও এনভায়নমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রডাকশন টিউবওয়েল, পাইপলাইন, ড্রেন, কমিউনিটি টয়লেট, পাবলিক টয়লেট ও সলিড ওয়েস্ট ল্যান্ডফিল সিস্টেম স্থাপন করা হয়। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু ২০১৮ সালে শেষ হয় এর চার বছর পরে।

পীরগাছা উপজেলার পল্লী এলাকার নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় সাবমার্সিবল পাম্প ও জলাধারসহ অগভীর নলকূপ, গ্রামীণ পাইপবাহিত পানি সরবরাহ স্কিম, কমিউনিটি ল্যাট্রিন, অফসেপ টুইন পিট ল্যাট্রিন, পাবলিক টয়লেট ও আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হয়। ৪৪ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে এই কাজটি শুরু হয় ২০২১ সালে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

গঙ্গাচড়া উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় সাবমার্সিবল পাম্প, জলাধারসহ অগভীর নলকূপ, কমিউনিটি ল্যাট্রিন, পাবলিক টয়লেট ও ড্রেন নির্মাণ করা হয়। ১৮ কোটি ৩৭ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজটি ২০২২ সালে শুরু হয়ে আগামী বছরে তা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়