তরমুজ খাওয়া সুন্নত, রাসূলুল্লাহ (সা.) যেভাবে খেতেন
নিউজ ডেস্ক
তরমুজ খাওয়া সুন্নত, রাসূলুল্লাহ (সা.) যেভাবে খেতেন
গ্রীষ্মকালীন ফল হলো তরমুজ। রসালো ও সুস্বাদু এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এতে ফাইবারের পরিমাণ কম হলেও পানির পরিমাণ বেশি। আবার ক্যালরি খুব কম থাকায় ওজন বাড়ারও ভয় নেই। তাই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন তরমুজ। পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি গরমে পানিশূন্যতা ধরে রাখতে ও শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগেও এই ফলটি ছিল। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এই ফল খেতেন। তবে নবীজির এই ফল গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়মের বর্ণনা পাওয়া যায় হাদিসে। তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তরমুজ খেতেন, যাতে এর ক্ষতিকর প্রভাব শরীরে না পড়ে।
আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাজা খেজুর দিয়ে তরমুজ খেতেন। তিনি বলতেন, এর ঠাণ্ডা ওর (খেজুরের) গরম কমাবে, এবং এর (খেজুরের) গরম ওর (তরমুজের) ঠাণ্ডা কমিয়ে দেবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩৬)
এই হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে নবীজি (সা.) অত্যন্ত সতর্ক ছিলেন। প্রতিটি মুমিনেরই উচিত জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সতর্কতা অবলম্বন করা, বুঝেশুনে কাজ করা; এমনকি খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ করা।
তরমুজ খাওয়ার ক্ষেত্রে হাদিসের আমল অনুসরণ করা যেতে পারে। কারণ, এই ফলটি মাত্রার চেয়ে বেশি খেলে কখনো কখনো হিতে বিপরীত হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। যেমন—তরমুজে প্রচুর পানি ও ডায়েটারি ফাইবার থাকে। বেশি পরিমাণে তরমুজ খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে ডায়রিয়া, খাবার হজম না হওয়া, গ্যাসের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এতে চিনির যৌগ হিসেবে পরিচিত সরবিটল থাকে, যাতে গ্যাসের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা তৈরি করে। তাই এ ধরনের ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যালান্স রক্ষা করা জরুরি।
- শিশুর জিদ দূর করার আমল
- যে দোয়া পড়বেন সকল প্রয়োজন ও আশা পূরণে
- কোরআন শিক্ষার গুরুত্ব ও ফজিলত
- ফজরে ঘুম থেকে না উঠতে পারার কারণ ও উঠার উপায়
- কোরআন মানব জাতির জন্য রহমত ও হেদায়েত
- কেয়ামত ঘনিয়ে আসছে, বোঝা যাবে এসব আলামতে
- শীতে অজু ও নামাজ নিয়ে যা বলেছেন বিশ্বনবি
- যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তা কবুল করবেন
- দাজ্জালের আবির্ভাব ও তার পরিচয়
- যেসব ফেতনা প্রকাশ পাবে কেয়ামতের পূর্বে