ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে আমেরিকা : হামাস

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ২২ এপ্রিল ২০২৪  

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে আমেরিকা : হামাস

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাকে রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে আমেরিকা : হামাস

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাত মাস ধরে চালানো এই হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাকে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক সুরক্ষা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ওই উপত্যকার শাসকগোষ্ঠী হামাস।এমনকি মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল গাজায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে বলেও অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এই সংগঠন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েল গাজায় হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে বলে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ভেটো কার্যকরভাবে তেল আবিবের কর্মকাণ্ডের রাজনৈতিক সুরক্ষা প্রদান করছে।

সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রতারণামূলক, যদিও দেশটি বলে, তারা বেসামরিক লোকদের ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না, তবে এটি তাদের একটি কৌশল। গাজায় নিহত সমস্ত বেসামরিক নাগরিক, হাজার হাজার নিহত, মার্কিন অস্ত্র, মার্কিন রকেট, মার্কিন রাজনৈতিক সুরক্ষায় নিহত হয়েছেন। নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর অর্থ কী? এর মানে হলো- গাজায় গণহত্যা ও হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্র পূর্ণ সুরক্ষা দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেছেন, “জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পূর্ণ সদস্যপদে মার্কিন ভেটো এটিই দেখায় যে- ওয়াশিংটন ইসরায়েলি অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের বিরোধিতা করছে।”

এদিকে হানিয়াহ রাফা শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে সতর্ক করে বলেছেন, এটি ফিলিস্তিনি জনগণকে আরও বেশি গণহত্যার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, “আমি সমস্ত ভ্রাতৃপ্রতিম দেশকে, আমাদের মিশরের ভাইদের, আমাদের তুরস্কের ভাইদের, আমাদের কাতারের ভাইদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এবং ইউরোপীয় দেশগুলোকে (ইসরায়েলি) আগ্রাসনকে দমন করতে এবং রাফা শহরে অভিযান প্রতিরোধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে এবং সেইসাথে গাজা উপত্যকা থেকে (ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং গাজায় হামলার সমাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”

ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিরোধের কথা বলতে গিয়ে হানিয়াহ বলেন, “যদি ইহুদিবাদী শত্রু রাফায় প্রবেশ করে, ফিলিস্তিনি জনগণ সাদা পতাকা উত্তোলন করবে না। রাফার প্রতিরোধ যোদ্ধারা নিজেদের রক্ষা করতে এবং আক্রমণ প্রতিহত করতে প্রস্তুত।”

সর্বশেষ
জনপ্রিয়