ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

দুর্ভাগা এক রাজপুত্রের গল্প

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

দুর্ভাগা এক রাজপুত্রের গল্প

দুর্ভাগা এক রাজপুত্রের গল্প

রাজার পুত্রকে রাজপুত্র বলা হয়। কিন্তু রাজা  না হলেও সব বাবা-মায়ের কাছেই তার সন্তান রাজপুত্র বা রাজকন্যা। রাজার পুত্র না হলেও কিছু কিছু সন্তান সত্যিই রাজপুত্র হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে কেউ যদি পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হন, তার যদি বড় দুই ভাই ও দুই বোন থাকে; তাহলে তার জীবন রাজপুত্রের মতই আনন্দে কাটে। শেখ রাসেলের জন্মটা মোটেই সোনার চামচ মুখে দিয়ে নয়, তাঁর পিতাও রাজা ছিলেন না। শেখ রাসেলের জন্মের সময়টায় তাঁর পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন আন্দোলনে, পশ্চিম পাকিস্তানের নির্যাতন-নিষ্পেষণের কবল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলন। কখন বাসায়, কখন রাজপথে, কখন কারাগারে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। ছেলেবেলায় শেখ রাসেল জানতেন কারাগারই তাঁর পিতার বাসা। পিতাকে দেখতে গিয়ে সেখানেই থেকে যাওয়ার আবদার করতেন রাসেল, চাইতেন পিতার আদর-স্নেহ। সময় গড়ালো, শেখ মুজিবুর রহমান হয়ে উঠলেন বঙ্গবন্ধু। বাংলার মুক্তি সংগ্রাম আর মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠলেন জাতির পিতা। বিজয়ের পর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বললে কম বলা হয়, পাকিস্তানীরা ফিরে যাওয়ার আগে বাংলাদেশকে সব অর্থে ধ্বংস করার সব চেষ্টা করে গেছে। কোষাগার শূন্য, শিল্প-কারখানা বিধ্বস্ত, রাস্তা-ঘাট বিপর্যস্ত। বাংলাদেশের বিজয় শুধু পাকিস্তানের পরাজয় নয়, আরো অনেক দেশ চেয়েছিল বাংলাদেশ হেরে যাক। হেনরি কিসিঞ্জার বলেছিলেন, বাংলাদেশ হবে তলাবিহীন ঝুড়ি। দেশী-বিদেশী শত ষড়যন্ত্র সত্বেও বাংলাদেশকে যখন গড়ে তোলার লড়াই করছিলেন, তখনই আসে আঘাত। 

বিজয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় আসে আঘাত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামনে ছিল সেনাবাহিনীর কয়েকজন জুনিয়র কর্মকর্তা। কিন্তু পেছনে ছিল দেশী-বিদেশী বিশাল ষড়যন্ত্র। কেউ কেউ ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞকে ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন। কিন্তু ঘাতকরা যদি শুধু বঙ্গবন্ধুকে তুলে নিয়ে যেতো বা হত্যা করতো, তাহলেও একে ক্ষমতা পরিবর্তনের চেষ্টা হিসেবে বলা যেতে পারতো। কিন্তু ঘাতকদের লক্ষ্য ছিল সামগ্রিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অস্তিত্ব, তাদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। সবাই জানে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। ঘাতকরা একে একে বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং বৃহৎ পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। নারী-শিশু কেউ রেহাই পায়নি। এমন নৃশংসরা বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। যুদ্ধ-ক্যু কোনো কিছুতেই এমন নৃশংসতার উদাহরন নেই।  

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুতিকাগার ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের বাড়িটি যখন মৃত্যুপুরি, তখনও বেঁচে ছিলেন শেখ রাসেল। নিচে গাড়ি বারান্দায় বাড়ির কর্মচারিদের সাথে দাড়িয়ে ছিলেন তিনি। ভয়ে-আতঙ্কে কাঁদছিলেন ৯ বছরের শিশু রাসেল। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন ‘আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দাও’। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বাদি এএফএম মহিতুল ইসলাম সেই মুহুর্তটির বর্ননা দিয়েছেন এভাবে, ‘রাসেল দৌড়ে এসে আমাকে জাপটে ধরে। আমাকে বললো, ভাইয়া আমাকে মারবে না তো? ওর সে কণ্ঠ শুনে আমার চোখ ফেটে পানি এসেছিল। এক ঘাতক এসে আমাকে রাইফেলের বাট দিয়ে ভীষণ মারলো। আমাকে মারতে দেখে রাসেল আমাকে ছেড়ে দিল। ও (শেখ রাসেল) কান্নাকাটি করছিল যে 'আমি মায়ের কাছে যাব, আমি মায়ের কাছে যাব'। এক ঘাতক এসে ওকে বললো, 'চল তোর মায়ের কাছে দিয়ে আসি'। বিশ্বাস করতে পারিনি যে ঘাতকরা এতো নির্মমভাবে ছোট্ট সে শিশুটাকেও হত্যা করবে। রাসেলকে ভিতরে নিয়ে গেল এবং তারপর ব্রাশ ফায়ার।" ৯ বছরের শিশুকে এমন ঠান্ডা মাথায় খুনের ইতিহাস পৃথিবীর আর কোথাও আছে?
দেশের বাইরে থাকায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। ভাগ্যিস বেঁচে গিয়েছিলেন, সেই সৌভাগ্যেই বাংলাদেশ আজো বাংলাদেশ আছে। কিন্তু বাবা-মা-ভাইসহ পরিবারের সব সদস্য, স্বজন হারিয়ে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা বেদনার কি পাখথর বুকে বেধে বেঁচে আছেন; এটা কল্পনা করাও দুঃসাধ্য। আদরের ছোট ভাই রাসেলের কথা যখন মনে পড়ে, শেখ হাসিনা-শেখ রেহানা কীভাবে সেই শোক সামলান, আমি ভেবে পাই না। শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। 

ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারের সাদামাটা বাড়িটিকে বলি আমি বাংলাদেশের সুতিকাগার। বঙ্গবন্ধু যখন দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন, বেশিরভাগ সময়ই তাঁর কাটে জেলে; তখন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আগলে রেখেছিলেন পুরো পরিবার। কঠিন সে সময়। শেখ মুজিবের পরিবারকে কেউ বাসা ভাড়াও দেয় না। তখন বেগম মুজিব তিল তিল করে গড়ে তুলেছিলেন ৩২ নাম্বারের সাদামাটা বাড়িটি। এখন যেটি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, সেই বাড়িটিতে আমি অনেকবার গিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে জাদুঘর হওয়ার আগ্বেো গিয়েছি। যতবার দেখি ততবার ফিরে আসে শোকের সেই বাণ। বাড়িটির কোণে কোণে নিষ্ঠুরতার চিহ্ন, শোকের আবহ। যতবার গেছি, শোকের পরিমাণ একটুও কমেনি। সেই ভয়াবহ সিঁড়িটির সামনে গিয়ে আমি শোকে, বিস্ময়ে থমকে যাই। এই সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর মরদেহ রেখেই আওয়ামী লীগের কেউ কেউ বেঈমান খন্দকার মোশতাকের মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে বঙ্গভবনে ছুটে গিয়েছিলেন। তবে ৩২ নাম্বারের বাড়িটিতে গেলে শোকের পাশাপাশি আমি দেখি একজন রাষ্ট্রপতির ঘরের ছবি। আমি বিস্ময় মানি। ড্রইং রুম, বেডরুম, ডাইনিং রুম ঘুরে ঘুরে দেখি আর ভাবি- আরে এ তো আমাদেরই রুম, কোনো আড়ম্বর নেই, জৌলুশ নেই। আর দশটা বাঙালি পরিবারের মতই ঘরের কোণায় কোণায় রুচির ছাপ। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাইলে সুরক্ষিত বঙ্গভবন বা গণভবনে থাকতে পারতেন। তাতে হয়তো তাঁকে এত সহজে হত্যা করা যেতো না। কিন্তু তিনি বা তার পরিবারের কেউ বাড়িটি ছেড়ে যেতে চাননি। বাড়িটির কোনায় কোনায় আদর-সোহাগ আর ভালোভাসায় জড়ানো। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় কবুতরের ঘর, বেগম মুজিবের অনাড়ম্বর রান্নাঘর, শেখ রাসেলের ছোট্ট সাইকেল। আহা কত মায়া, কত ইতিহাস।

এই বাড়িতেই ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধু তাঁর প্রিয় লেখক খ্যাতিমান দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিত্ব বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম রাখেন- রাসেল। এই নামকরণে মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। শেখ হাসিনা তাঁর ভাইয়ের জন্ম মুহুর্তটির বর্ণনা দিয়েছেন এভাবে, ‘রাসেলের জন্মের আগের মুহূর্তগুলো ছিল ভীষণ উৎকণ্ঠার। আমি, কামাল, জামাল, রেহানা ও খোকা চাচা বাসায়। বড় ফুফু ও মেজো ফুফু মার সাথে। একজন ডাক্তার ও নার্সও এসেছেন। সময় যেন আর কাটে না। জামাল আর রেহানা কিছুক্ষণ ঘুমায় আবার জেগে ওঠে। আমরা ঘুমে ঢুলুঢুলু চোখে জেগে আছি নতুন অতিথির আগমন বার্তা শোনার অপেক্ষায়। মেজো ফুফু ঘর থেকে বের হয়ে এসে খবর দিলেন আমাদের ভাই হয়েছে। খুশিতে আমরা আত্মহারা। কতক্ষণে দেখব। ফুফু বললেন, তিনি ডাকবেন। কিছুক্ষণ পর ডাক এলো। বড় ফুফু আমার কোলে তুলে দিলেন রাসেলকে। মাথাভরা ঘন কালো চুল। তুলতুলে নরম গাল। বেশ বড় সড় হয়েছিল রাসেল।’

 শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তাই আদরে-আহলাদে রাজপুত্রের মতই কেটেছে তাঁর শৈশব। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কিন্তু দায়িত্ব বাড়া ছাড়া আর কোনো পরিবর্তন আসেন। ৩২ নাম্বারের বাড়ি ছিল সবার জন্য উন্মুক্ত। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন আগের মতই, মাটির কাছাকাছি।  শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আর সব ছাত্রের মত ছিলেন তিনি। সবার আদর-ভালোবাসায় বেড়ে উঠছিলেন। রাষ্ট্রপতির ছেলে বলে আলাদা কোনো অবস্থান ছিল না। শেখ রাসেলের ভুবন ছিল পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা এবং ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামালকে ঘিরে। 

জন্মের দেড়বছরের মাথায় বাবাকে দেখতে কারাগারে যেতে হয়েছিল শেখ রাসেলকে। কারাগারে দেখা করার সময় রাসেল কিছুতেই তাঁর বাবাকে রেখে আসবে না। এ কারণে তাঁর মন খারাপ থাকতো। কারাগারের রোজনামচায় ১৯৬৬ সালের ১৫ জুনের দিনলিপিতে রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “১৮ মাসের রাসেল জেল অফিসে এসে একটুও হাসে না- যে পর্যন্ত আমাকে না দেখে। দেখলাম দূর থেকে পূর্বের মতোই ‘আব্বা আব্বা’ বলে চিৎকার করছে। জেল গেট দিয়ে একটা মাল বোঝাই ট্রাক ঢুকেছিল। আমি তাই জানালায় দাঁড়াইয়া ওকে আদর করলাম। একটু পরেই ভিতরে যেতেই রাসেল আমার গলা ধরে হেসে দিল। ওরা বলল আমি না আসা পর্যন্ত শুধু জানালার দিকে চেয়ে থাকে, বলে ‘আব্বার বাড়ি’। এখন ধারণা হয়েছে এটা ওর আব্বার বাড়ি। যাবার সময় হলে ওকে ফাঁকি দিতে হয়।” কারগারের রোজনামচায় ১৯৬৭ সালের ১৪-১৫ এপ্রিলের অন্যান্য প্রসঙ্গ ছাড়াও রাসেলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, “জেল গেটে যখন উপস্থিত হলাম ছোট ছেলেটা আজ আর বাইরে এসে দাঁড়াইয়া নাই দেখে আশ্চর্যই হলাম। আমি যখন রুমের ভিতর যেয়ে ওকে কোলে করলাম আমার গলা ধরে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে কয়েকবার ডাক দিয়ে ওর মার কোলে যেয়ে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে ডাকতে শুরু করল। ওর মাকে ‘আব্বা’ বলে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘ব্যাপার কি?’ ওর মা বলল,“বাড়িতে ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ করে কাঁদে তাই ওকে বলেছি আমাকে ‘আব্বা’ বলে ডাকতে।” রাসেল ‘আব্বা’ ‘আব্বা’ বলে ডাকতে লাগল। যেই আমি জবাব দেই সেই ওর মার গলা ধরে বলে, ‘তুমি আমার আব্বা।’ আমার উপর অভিমান করেছে বলে মনে হয়। এখন আর বিদায়ের সময় আমাকে নিয়ে যেতে চায় না।”

বন্দী বাবাকে দেখতে কারাগারে যাওয়া শেখ রাসেল নিজেই বন্দী হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধের সময়। ১৯৭১ সালে মা ও দুই বোনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধানমণ্ডি ১৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়িতে বন্দি জীবন কাটিয়েছেন ছোট্ট রাসেল। পিতা বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি এবং বড় দুই ভাই শেখ কামাল ও শেখ জামাল চলে গেছেন মুক্তিযুদ্ধে। মা ও আপাসহ পরিবারের সদস্যরা ১৯৭১ সালের ১৭ই ডিসেম্বর মুক্ত হন। রাসেল ‘জয় বাংলা’ বলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন। বাইরে তখন চলছে বিজয়-উৎসব। কিন্তু সেই বিজয়ের আনন্দ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
বেঁচে থাকলে শেখ রাসেলের বয়স হতো এখন ৫৯। কেমন হতো দেখতে রাসেল? কী দায়িত্ব পালন করতো? সে নিয়ে আর ভাবার অবকাশ নেই। শেখ রাসেল আমাদের সবার স্মৃতিতে বির ভাস্বর হয়ে আছে ৯ বছরের ছোট্ট অবয়বে। শুরুতেই বলছিলাম রাজপুত্রের কথা। মৃত্যুর সময় শেখ  রাসেলের পিতা দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু জনগণের নেতা ছিলেন। কখনোই রাজা ছিলেন না। তার ছেলেমেয়েরা কেউ রাজপুত্র বা রাজকন্যা ছিল না। কিন্তু শেখ রাসেল ছিলেন সবার আদরের, ভালোবাসার রাজপুত্র। কিন্তু বিশ্বের কোনো রাজপুত্রেরই এসন করুণ মৃত্যু হয়নি। শেখ রাসেল এক দুর্ভাগা রাজপুত্র।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়