ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

৬ জেলায় গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৫, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২  

৬ জেলায় গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

৬ জেলায় গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

যশোর কৃষি জোনের আওতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন শাক সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ মৌসুমে ৪৯ হাজার ৯৬৬ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১০লাখ ৪৮ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন সবজি।গত  বছর বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম ভালো পাওয়ায় চাষির মুখে খুশির ঝিলিক মিলছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা হচ্ছে-যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসের শুরু থেকে গ্রীষ্মকালীন সবজির আবাদ শুরু হয়।এ আবাদ চলবে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত। যশোর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে।এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩লাখ ৩৯ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন। ঝিনাইদহ জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৯৭ হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন। মাগুরা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫২৫ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন। কুষ্টিয়া জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে । এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৭৬ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন।চুয়াডাঙ্গা জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৬১১ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬৩ হাজার ৬০৯ মেট্রিক টন এবং মেহেরপুর জেলায় গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে। এ জেলায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ৬ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন।

যশোর সদরের সাতমাইল এলাকার একাধিক সবজি চাষি জানান, বিষা প্রতি জমিতে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে তাদের খরচ হয় ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকার মতো। একবিঘা জমিতে তারা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০হাজার টাকার সবজি বিক্রি করে থাকেন।

বাজার সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে এক কেজি বেগুন ৫০ টাকা, ধুন্দল প্রতিকেজি ২৫ টাকা,কুসি প্রতিকেজি ২৫ টাকা,কাঁচকলা প্রতি হালি ২৫-৩০ টাকা,লাল শাক ও সবুজ শাক প্রতিকেজি ৫০-৬০টাকা, বরবটি শিম প্রতিকেজি ৩৫-৪০টাকা, পেঁপে প্রতিকেজি ২০ টাকা, ঝিঙ্গে প্রতিকেজি ৩০ টাকা, উচ্ছে প্রতিকেজি ৫০ টাকা,মিষ্টি কুমড়া প্রতিকেজি ৩৫টাকা, ক্ষিরাই প্রতিকেজি ৫০টাকা, পটল প্রতিকেজি ৩০টাকা, কচু সাইজভেদে ২০-২০টাকা, ডাটা প্রতি আটি ২০টাকা এবং লাউ সাইজভেদে ৩০টাকা থেকে ৩৫টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মো: এখলাছ উদ্দিন জানান, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলা সবজি উৎপাদনের জন্য উর্বর ভুমি।এখানকার উৎপাদিত সবজির চাহিদা সর্বত্র রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়