যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে পৌনে ২শ’ কোটি ডলারের
বাণিজ্য ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে পৌনে ২শ’ কোটি ডলারের
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের, যা শতাংশের হিসাবে ৬০.৩০ শতাংশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) ও বিজিএমইএ’র তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে। ডেটা অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ৩১৩ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ডলারের। সে হিসাবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রপ্তানি আদেশগুলো এসেছিল চলতি বছরের মে মাসে, যখন বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখনকার মতো অস্থির ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অতটা ভালো না। বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বিজিএমইএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্ববাণিজ্য ও অর্থনীতি এই মুহূর্তে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং সরবরাহের ঘাটতি বিশ্ব পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেহেতু আমরা বিশ্ববাজারে কাজ করি, আমাদের শিল্পও এর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত দেড় বছরে সুতার দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ, মালবাহী পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ, রং-রাসায়নিক খরচ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ, ন্যূনতম মজুরি গত বছরের শুরুতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে আমাদের গড় উৎপাদনে গত ৫ বছরে খরচ বেড়েছে ৪০-৪৫ শতাংশ।
সেই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা আমাদের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কারণ বাংলাদেশে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় ৪৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে উৎপাদনশীলতা ৫৫ শতাংশ এবং তুরস্কে ৭০ শতাংশ। এই সংকট পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তারা নিজ নিজ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন যা তাদের এগোতে সাহায্য করছে। আমরা সরকারের কাছ থেকেও কিছু নীতিগত সহায়তা চাই।
সরকার নীতিগত সহায়তা দিলে আমরা এগিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের মতো সহযোগিতা এবং সহায়ক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব। মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পণ্য তৈরি এবং বাজারের অতিরিক্ত ঘনত্ব, বিশেষ বাজারে অনুপস্থিতি, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের উন্নতি ইত্যাদির মতো দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। খরচ কমিয়ে আমাদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতামূলক থাকার চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।
- টানা দ্বিতীয়বার আন্তর্জাতিক সুপার ব্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন
- জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমলো
- গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর স্বীকৃতি পেলেন ব্যাংকার দিলিপ দাশগুপ্ত
- মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক পরিদর্শনে কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার
- দেশ সেরা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে যুক্ত হলো পারটেক্স বেভারেজ
- এবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে গেল ৫ টন সবজি
- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে ব্র্যাক ব্যাংকের চুক্তি স্বাক্ষর
- ৭১.৬ শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা বাড়াতে চায়
- এক ধাক্কায় ২৫ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম!
- ২০৩০ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা