ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরে ৪০ কেজিতে মণ ধরে ধান ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশ
নিউজ ডেস্ক
ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরে ৪০ কেজিতে মণ ধরে ধান ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশ
ময়মনসিংহের ফুলপুরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধান ব্যবসায়ীদের ৪০ কেজিতে মণ ধরে ক্রয়-বিক্রয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফুলপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আতিকুর রহমান শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ফুলপুরে ধান ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ওজনে ঠকানোর অভিযোগ উঠলে ১৩ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. বি. এম. আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমুয়াকান্দা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে অভিযোগের সত্যতা মেলে। পরে কোনো জরিমানা না করে পরদিন বেলা ১১টায় সকল ধান ব্যবসায়ীদের উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় আহ্বান জানানো হয়।
এরপর ১৪ মে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় ওজনে ধান বেশি নেওয়ার বিষয়টি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য থেকেই প্রমাণিত হয়। এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তারা বলেন, বস্তা বাবদ ১ কেজি ও ভেজা ধান পরে কমে যাওয়ার আশঙ্কায় মণ প্রতি ১ কেজি মোট দুই কেজি বেশি না নিলে লস হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছিলেন, আপনারা যে দরে ধান ক্রয় করেন, এর চেয়ে ২ কেজির মূল্য কমে কেনেন, তবু ওজনে ৪০ কেজিতে মণ কথাটি ঠিক রাখুন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বাড়তি ধান না নিলে আমাদের লস হবে। এটা শুধু ফুলপুরে নেওয়া হচ্ছে না বরং আশপাশের উপজেলাগুলোতেও নেওয়া হচ্ছে।
এক পর্যায়ে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান ফারুক, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আতিকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কামরুল হাসান কামু ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শিহাব উদ্দিন খান-এই চারজনকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। এই কমিটি যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি এ সিদ্ধান্ত দেয়।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আতিকুর রহমান বলেন, আমরা আশপাশের উপজেলায় খোঁজ-খবর নিয়েছি। তারাকান্দায় মণ প্রতি ২ কেজি ও হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে ১ কেজি করে বেশি নেওয়া হয়। ধারা বাজারেও ২ কেজি বেশি নিতো। পরে স্থানীয় এমপি মাহমুদুল হক সায়েমের হস্তক্ষেপে তা কমিয়ে এখন ১ কেজি করে বেশি নেয়। কিন্তু আমাদের কথা হলো, আশপাশের ব্যবসায়ীরা ত্রুটি করলে সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা ওই ত্রুটির অনুসরণ করতে পারি না। আমাদের ফুলপুরে আশপাশের ত্রুটিটাকে আমরা সঠিক হিসেবে মেনে নিতে পারি না। এজন্য ফুলপুরে ৪০ কেজিতে মণ ধরে ক্রয় বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত কমিটি যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- শেরপুরে প্রথমবারের মতো ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষ করে সফলতা
- ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কেঁচো সার
- ৩৫৮ কোটি টাকায় হবে শেরপুর-ময়মনসিংহ সড়কের উন্নয়ন
- ঈদের আগেই উদ্বোধন হবে ঝালকাঠির কচুয়া-বেতাগী ফেরি
- বড়শিতে ধরা পড়ল ৩০ কেজির কাতল
- নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলাকে “ক” শ্রেনীর ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত করার লক্ষ্যে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত
- শেরপুরে ‘কালো ধান’ চাষ করে সফল উদ্যোক্তারা
- শেরপুরে একই পরিবারের ৭ জনই গ্রহণ করেছেন ইসলাম ধর্ম
- ময়মনসিংহ সেরা সাংবাদিক সম্মাননা পেলেন মোঃ রইছ উদ্দিন
- দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার হাতে তৈরি লাল চিনি