ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম চিকিৎসককে স্বাস্থ্য সচিবের চেয়ারে বসান: শারফুদ্দিন আহমেদ

হেলথ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৬, ১১ আগস্ট ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম একজন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য সচিবের চেয়ারে বসিয়েছিলে। এর ফলে বঙ্গবন্ধুর সময় সমস্তখাতে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

গতকাল বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন (নিপসম) কর্তৃক আয়োজিত ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রমের পরিচিতি সভা ও অসংক্রামক রোগ বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু এতটাই প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি ছিলেন, যে বিষয়ে যে অভিজ্ঞ তাকে সেই বিষয়ে দায়িত্ব দিতেন। স্বাস্থ্য সেবায় চিকিৎসক সচিব ছাড়াও প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ কুদরাত-ই-খুদাকে দিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সারা বাংলাদেশে চারটি হেলথ কমপ্লেক্স ছিল। প্রত্যেক বিভাগে একটি করে ছিল। চারটি বিভাগে চারটি ছিল। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতায় এসে প্রত্যেক থানায় একটি করে হেলথ কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত কমিনিউটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রও বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল গঠন করেন। যদিও এ সময় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে মাইন অপসারণের দরকার ছিল। বঙ্গবন্ধু অনুভব করেন চিকিৎসা সেবা মাইন অপসারণের চেয়েও জরুরি।

তিনি বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে স্কুল কলেজে ভাঙাচোরা থাকায় পড়াশোনা করার জায়গা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তার কথা উল্লেখ করলে বলা যায়, আজকে আমরা মেডিকেল গবেষণার কথা বলছি, এটিও তার দেশ শাসনের সময়ে শুরু করেন। তিনি তখন এই নিপসম প্রতিষ্ঠা করেন। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য নিটোর বা তৎকালীন পঙ্গু হাসপাতালে প্রখ্যাত অর্থপেডিক্স সার্জন গ্রাসকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। তার চিকিৎসা সেবা পেয়ে অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন।

উপাচার্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ হওয়ায় সারাবিশ্বে পাবলিক হেলথের গুরুত্ব বেড়েছে। আইসিডিডিআর’বি মতলবের কর্মসূচি ওআরএসের মাধ্যমে ওইসময় লাইফ এক্সপেক্টেন্সি বাড়িয়ে দেয়। ওই সময় লোক বেশি মৃত্যুবরণ করত। তাহলে ওআরসের ব্যবহার, আইপিএসের স্যালাইন, অ্যান্টিডেমিন ভ্যাকসিন বঙ্গবন্ধুর সময় তৈরি হয়। এর মাধ্যমে দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. সৈয়দ শরীফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বাইজিদ খুরশীদ আলম।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়