ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই : আওয়ামী লীগ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৮, ২০ মার্চ ২০২৩  

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই : আওয়ামী লীগ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই : আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলন করে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই বলেও সাফ জানিয়ে দেন তারা।

সম্প্রতি রাজধানী এবং চট্টগ্রামে আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আসছে নির্বাচনে আর অগণতান্ত্রিক পথে যাবার সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি যত কথাই বলুক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথাই বলুক আর নির্দলীয় সরকারের কথাই বলুক কিছুই আমরা মানব না। সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে আনব। সংবিধানের বাইরে এক চুলও যাওয়ার সুযোগ নেই; পরিষ্কার কথা আমাদের।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে আবারও নৌকায় ভোট চান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বার্থে, এদেশের মানুষের স্বার্থে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। শেখ হাসিনার জন্যই আজ ১৮ কোটি মানুষ নিরাপদে আছে। দেশের মানুষের স্বার্থই শেখ হাসিনার স্বার্থ। সেজন্য এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিজয় ত্বরান্বিত করতে এদেশের মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মতোই ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা যখন সারা বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলেছে, তখনও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে দৃঢ় পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সারা বিশ্ব যখন হুমকিতে পড়েছে তখনও তিনি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য জিন্নাতুল বাকিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন হেলাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মুক্তিযোদ্ধাদের পৌর কর মওকুফে নিজ ক্ষমতার সম্ভব সর্বোচ্চ ব্যবহার করবেন জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন সম্মানিত করে চলেছেন, তার সঙ্গে আবাসস্থলেরও ব্যবস্থা করে চলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রয়াসকে বেগবান করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যেসব আবাসস্থল আছে, বাড়ি আছে, সেখানে পৌর করের (হোল্ডিং ট্যাক্স) যে বিষয় রয়েছে — একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি এটুকু বলব, আইনের আওতায় একজন মেয়রের যেটুকু ক্ষমতা আছে সেটুকুর পূর্ণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, যতটা পারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পৌরকর মওকুফ করে দেব।

এদিকে চট্টগ্রাম এক অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগকে বিপদে ফেলতে গিয়ে বিএনপিই এখন বিপদে। সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে তারাই এখন দঁড়ি ছিঁড়ে পড়ে গেছে। ১৪ বছর ধরে টেনে নামাতে চাচ্ছে, টেনে নামাতে গিয়ে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের এ আন্দোলনের হুমকি ধামকি এগুলো এখন হাস্যকর, এগুলো এখন একটি কৌতুক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলেও ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে সরকারি দল তাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও জানান আওয়ামী লীগ নেতারা।

রাজনীতির মাঠ এখন সরব নির্বাচন নিয়ে। ভোটরে আনুষ্ঠানিকতার এখনও ঢের বাকি থাকলেও নির্বাচনকালীন সরকারসহ নানা বিষয়ে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্যে ব্যস্ত সরকারি আর বিরোধিশিবির। রাজপথের কর্মসূচি কিংবা যে কোনো আলোচনা সভায় উঠে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়