ঢাকা, রোববার   ১৯ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে ঈদের আনন্দ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৬ মে ২০২৪  

হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে ঈদের আনন্দ

হাওরে ধান কাটা হলো সারা, কৃষক পরিবারে ঈদের আনন্দ

সুনামগঞ্জের হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ। হাওর ও উঁচু স্থান মিলে মোট ৯২ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়েছেন কৃষকরা। উঁচু জমিগুলোরও ৬৯ শতাংশ ধান ইতোমধ্যে ঘরে তুলে ফেলেছেন কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এ বছর কৃষকেরা কোনো ধরনের বিপত্তি ছাড়াই ধান ও খড় ঘরে তুলতে পেরেছেন। কৃষক পরিবারের এখন ঈদের আনন্দ।করচার হাওরপাড় রাধানগর গ্রামের কাহিন মিয়া জানান, করচার হাওরে ১৬ কেয়া (৩০ শতাংশে এক কেয়া) জমি চাষাবাদ করে বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে ধান কেটে ঘরে তুলেছেন। তিনি ব্রি-৮৮ জাতের ধান চাষ করেছেন এবার।

বিশ্বম্ভরপুরের কৃষ্ণনগর গ্রামের কাজল বর্মণ ১৫/১৬ কেয়া জমির বোরো ফসল করে ভালো ফলন পেয়ে খুবই আনন্দিত।

একই উপজেলার মুক্তিখলা গ্রামের কামরুল ইসলাম ও ব্রজনাথপুর গ্রামের সুধাংশু বিশ্বাস জানান, এ বছর ভালো ফসল পেয়েছেন। হাওরে শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। হাওরবহির্ভূত জমির ধানও দ্রুত কাটা হচ্ছে।সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ১৩৭টি হাওরের এক ফসলি বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার কৃষক-কিষাণীরা যারপরনাই খুশি।

কৃষি অফিস বলছে, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের হাওরের ১০ লাখ কৃষক বোরো ধানের চাষাবাদ করেছেন। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার সুনামগঞ্জে ২৬২ হেক্টর বেশি জমিতে ধান উৎপাদন হয়েছে। ধাবর্তমানে হাওরে শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। উঁচু এলাকায় কিছু কাঁচা-পাকা অবস্থায় রয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘আমি বলেছিলাম আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ৫ মের মধ্যে হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ হবে । সে অনুযায়ী ৪ তারিখেই সুনামগঞ্জ জেলায় হাওরের শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।

‘শুধু উঁচু স্থানে কিছু ধান এখনও কাটার বাকি রয়ে গেছে। আশা করছি আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে এগুলোও কাটা হয়ে যাবে। উঁচু স্থানের ধান নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। কারণ আকস্মিক বন্যায় এসব জমির ধানের ক্ষতির আশঙ্কা নেই। কৃষকেরা স্বাচ্ছন্দ্যে তাদের সোনার ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন।’

তিনি বলেন, ‘এ বছর বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ২৪৫ হেক্টর। আর অর্জন হয়েছে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪০৭ হেক্টর। ইতোমধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৭৩ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে।

‘সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর উপজেলার উঁচু স্থানের প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা বাকি আছে। এগুলোও পাকতে শুরু করেছে। আশা করছি ২০ তারিখের মধ্যেই সব ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে। আমরা খাদ্য অফিসে ইতোমধ্যে কৃষক তালিকা দিয়েছি। ৭ তারিখ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে ৭টি উপজেলায় ধান সংগ্রহ শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, এবার ৯ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যার বাজার মূল্য ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা। সে হিসাবে আমরা এবার শতভাগ সফল।’

সর্বশেষ
জনপ্রিয়