বিএনপিতে চলছে আগাছা ছাঁটাই, শঙ্কিত নেতা-কর্মীরা
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি
নানা নামে নানা মোড়কে চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুফল পাচ্ছে না বিএনপি। নেতিয়ে পড়া আন্দোলনকে তাই চাঙা করতে নতুন সিদ্ধান্তে নজর দিচ্ছে দলটি। ফলে টনিক হিসেবে চূড়ান্ত আন্দোলনের আগে কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয় নেতাদের দল থেকে অব্যাহতিও দেওয়ার বিকল্প দেখছেন না কেন্দ্রীয় কমিটির কেউ কেউ।
বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া যেসব নেতা পরপর তিনটি কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকবেন তাদের দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে সতর্ক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ নির্দেশনার অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে ইফতার রাজনীতি, নিষ্ক্রিয় নেতাদের অব্যাহতি, সহযোগী সংগঠনগুলোকে এক্টিভ করাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করি এতে করে আমরা আগের চেয়ে কিছুটা হলেও আন্দোলনে গতি ফিরে পাবো। আর তৃণমূল নেতাকর্মীরাও ছন্দে ফিরবেন এমনটি হলে।
তিনি আরও বলেন, দলের ঘোষিত কর্মসূচিতে রাজপথে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। ফলে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুর থানার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সহসভাপতি কেএম শামসুর রহমানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পেয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী থানার আহ্বায়ক ও সাবেক কমিশনার মো. সাজ্জাদ হোসেনও। একে একে সব ওয়ার্ডেই চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে নিষ্ক্রিয়দের ছাঁটাই পর্ব সম্পন্ন করা হবে বলেও জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানিয়েছেন, এই অব্যাহতি কর্মসূচি কেবল মহানগর, জেলা, উপজেলাতেই প্রযোজ্য হবে না। কেন্দ্রীয় কমিটির নিষ্ক্রিয় নেতাদের বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। এর ফলে কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন আগাছারূপী দলের অনেক হাইপ্রোফাইল নেতাও।
এমন গুঞ্জন যখন দলের ভেতরে চলমান তখন নিজের পদ বাঁচাতে বড় অঙ্কের ডোনেশন লন্ডনে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে দলটির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে। যাতে সবার আগে মির্জা আব্বাস, রিজভী আহমেদের নাম রয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি। শুধু তাই নয়, দলে পদ হারানোর ভয়ে শঙ্কিত অনেক নিষ্ক্রিয় নেতৃবৃন্দ। আপাতত ডোনেশনকে ভরসা দেখছেন তারা।
- জিয়া হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী কে?
- খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন নামঞ্জুরের পেছনে ফখরুলের ষড়যন্ত্র
- ‘পাক সেনা ক্যাম্পের নারী সাপ্লায়ার’ ছিলেন সাঈদী
- বাবুনগরী-মামুনুল এর ষড়যন্ত্র ফাঁস : ক্ষমতার লোভে আল্লামা শফি খুন
- সৌদি আরবে দুর্নীতিবাজদের তালিকায় খালেদা জিয়ার নাম
- পুষ্পস্তবকের জন্য চাঁদা তোলায় ফখরুলের উপর ক্ষোভ মোশাররফের
- বিএনপি নামক দলের সমর্থন করার কোনো মানেই হয় না: ডা. জাফরুল্লাহ
- তারেকই বিএনপির প্রধান, নিরুপায় হয়ে পড়েছেন খালেদা
- রোজিনাকাণ্ড: রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্কে ফাঁটল ধরানোই টার্গেট
- ত্যাগী নেতাদের সরিয়ে দিয়েছে বিএনপি