ঢাকা, বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

পড়াশোনার জন্য শিক্ষা চ্যানেল আসছে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৭, ২৭ এপ্রিল ২০২৪  

পড়াশোনার জন্য শিক্ষা চ্যানেল আসছে

পড়াশোনার জন্য শিক্ষা চ্যানেল আসছে

পড়াশোনার জন্য বিশেষায়িত শিক্ষা চ্যানেল আনছে সরকার। পাঠদান করবেন অভিজ্ঞ শিক্ষক। আধুনিক সুবিধার বাইরে থাকা দূর-দূরান্তের ছাত্রছাত্রীরা মানসম্মত শিক্ষকের ক্লাস করতে পারবে। সারা বছরই পাঠদান চলবে এই চ্যানেলে। বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থা চালু এবং সবার জন্য শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে চালু করা হচ্ছে এই শিক্ষা টিভি। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষা চ্যানেল চালু করতে ছয় সদস্যের কমিটি করেছে মন্ত্রণালয়। কমিটির সভাপতি করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (মাধ্যমিক ১)। শিক্ষা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যানকে সদস্য করা হয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে শিক্ষা চ্যানেল চালু করা নিয়ে সভা হয়। সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সূত্র জানায়, শিক্ষার চ্যানেল চালু করতে জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে ২০১৯ সালে প্রস্তাবনা আসে। সভায় বলা হয়, মহামারি করোনাকালে সংসদ টিভিতে ‘আমার ঘর আমার স্কুল’ কার্যক্রম সফলভাবে প্রচারিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন কারিকুলামে শিক্ষণ ও শিখন ফল অর্জনের জন্য ‘শিক্ষা চ্যানেল’র প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিক্ষা ও কৃষির জন্য পৃথক চ্যানেল রয়েছে।

তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই শিক্ষা টিভির জন্য আলাদা কোনো চ্যানেল প্রয়োজন হবে না। সভায় উপস্থিতরা বলেন, বর্তমানে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকের সংকট রয়েছে। শিক্ষা চ্যানেলের মাধ্যমে সবার জন্য সমতাভিত্তিক শিক্ষা সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। তবে এ জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে, সম্প্রচারের জন্য স্যাটেলাইট ও ব্রডকাস্টিং সুবিধা, প্রচারের জন্য কারিকুলাম সংক্রান্ত কনটেন্ট তৈরি এবং আর্থিক ও জনবল সংশ্লিষ্ট বিষয়। সভাসূত্র জানায়, উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কনটেন্ট আহ্বান করা হবে। ভালো মানের কনটেন্ট তৈরির জন্য ব্যবস্থা থাকবে আর্থিক অনুদানেরও। অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে অষ্টম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কনটেন্ট প্রস্তুত করা হবে। শিক্ষা চ্যানেলের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় সভা থেকে। এই কমিটি কনটেন্ট প্রস্তুত করতে বিষয়ভিত্তিক কমিটি গঠন করবে। অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির জন্য বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের কনটেন্ট প্রস্তুত করবে বিষয়ভিত্তিক কমিটি। শিক্ষা টিভি চালুর ব্যাপারে গঠিত কমিটির সদস্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষা টিভির সুফল পাবে সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিশেষ করে যেসব ছাত্র-ছাত্রী শহর থেকে দূরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে, যাদের স্কুলে মানসম্মত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নেই, তারা শিক্ষা টেলিভিশনের মাধ্যমে আধুনিক মানের শিক্ষা পাবে। এই টিভিতে সারা বছরই চলবে পাঠদান কার্যক্রম।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়