ঢাকা, রোববার   ১৬ জুন ২০২৪ ||  আষাঢ় ২ ১৪৩১

প্রতারণার পর মিথ্যা দিয়ে ডকুমেন্টারি বানালো ডয়চে ভেলে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৬, ২৩ মে ২০২৪  

প্রতারণার পর মিথ্যা দিয়ে ডকুমেন্টারি বানালো ডয়চে ভেলে

প্রতারণার পর মিথ্যা দিয়ে ডকুমেন্টারি বানালো ডয়চে ভেলে

আবারও বিতর্কিত ডকুমেন্টারির জন্ম দিলো জার্মানি ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলে। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে বিদেশি অর্থায়নে মিথ্যা ডকুমেন্টারি তৈরি করেছে প্রকাশ করেছে গণমাধ্যমটি। যা বানাতে নিয়েছে প্রতারণার আশ্রয়। সেই সঙ্গে ভুল তথ্যের ছড়াছড়ি পুরো প্রতিবেদনে।মানবাধিকার ক্ষুণ্নকারীরা যাচ্ছে শান্তিরক্ষা মিশনে (Bangladesh: Human rights abusers go on UN missions) এই শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে পুরোটাই একটা নাটকের মতো স্ক্রিপ্ট। ফরমায়েশি ডকুমেন্টারিতে রয়েছে কিছু অ্যানিমেশন। সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের ভেতরের কিছু ফুটেজও রয়েছে।

যেসব ফুটেজ সংগ্রহ করতে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেনানিবাসের অভ্যন্তরে ড্রোন শুট করেছেন তারা। আর শান্তিরক্ষীদের ট্রেনিংয়ের উপরে শুটিং করবে বলে ড্রোন শুট করে ফুটেজ নেয়। এরপর ওই ফুটেজ অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে ডয়চে ভেলে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও সাংবাদিকতার পরিপন্হী।

আরেকটি অবাক করা বিষয় হলো- ওই ভিডিওটির ৪.২০ মিনিটের সময় যে ব্যক্তিকে ক্যামেরার সামনে আনা হয়েছে সেটা তাসনিম খলিল নিজেই। কিন্তু পরিচয় দিয়েছে র‌্যাব কর্মকর্তা। যা একটি সংবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট।

তাছাড়াও অভিযোগের জন্য যাদেরকে সামনে আনা হয়েছে তাদের কারোর চেহারাই দেখানো হয়নি। শুধু অ্যানিমেশন বানানো হয়েছে। এখানে জেনে রাখা উচিত, ‘যেকোন ব্যক্তিকে ক্যামেরার সামনে এনে লিখে দেওয়া কথা বলিয়ে নিলেই তারা র‍্যাব অফিসার হয়ে যায় না। মূলত সাজানো গল্পের উপর ভিত্তি করে সেনাবাহিনীর উপর কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টা করার অপপ্রয়াস এই ডকুমেন্টারি।’

শ্রীলঙ্কার যে বিদ্রোহের কথা বলা হয়েছে বাংলাদেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বরং মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের শান্তি-শৃঙ্খলার কাজেও এগিয়ে আসে সেনাবাহিনী। কিছু ভুয়া ভয়েস দিয়ে বানানো হয়েছে ভিডিওটি। অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স, জাতিসংঘের পুরোনো কিছু বক্তব্য এবং দুজন বিদেশিকে নিয়ে আরাফাতুল ইসলামের কাগজ ঘাটাঘাটিতে তথ্য প্রমাণ হয় না।

তাদের এই ডকুমেন্টারির মূল উদ্দেশ্য হলো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা। কিন্তু তাদের অবশ্যই এটা জেনে রাখা দরকার। সুন্দর ও স্বচ্ছ বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সেনাসদস্যদের পাঠানো হয়।

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়