ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দুদকের মামলায় জামিন পাননি ডেসটিনির জেসমিন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩০, ৩০ জুন ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে ডেসটিনির জেসমিন আক্তার মিলনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তার এক কোটি টাকা জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। তবে তাকে জামিন দেননি আদালত।

গত বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এম মাইনুল ইসলাম। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জেসমিন আক্তার মিলন ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনা প্রধান হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী।

গণমাধ্যমে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুরশীদ আলম খান।

চলতি বছরের ১২ মে বিচারিক আদালতে এ মামলার রায় হয়। তাতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও তাদের দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে হারুন-অর-রশীদকে দেওয়া হয় চার বছরের কারাদণ্ড। সেই সঙ্গে তাকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ছয় মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর জেসমিন আক্তার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন।

২০১২ সালের ৩১ জুলাই দুদকের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডেসিটিনির কর্তাব্যক্তিসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের দুটি মামলা করেন।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।

বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে রফিকুল আমিনকে ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। ৪৬ আসামির মধ্যে ৩৯ জন আসামি পলাতক ছিলেন। তবে রায় ঘোষণার পর কয়েকজন এরই মধ্যে আত্মসমর্পণ করেছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়