ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

তীব্র তাপপ্রবাহে যেসব অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫৫, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  

তীব্র তাপপ্রবাহে যেসব অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে

তীব্র তাপপ্রবাহে যেসব অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে

দেশজুড়ে দীর্ঘ দিন যাবত বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। আর এই কঠিন সময়ে নানা ধরনের অসুস্থতার ঝুঁকি বেড়ে চলছে। বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু ও যাদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয় এবং দীর্ঘসময় রোদে থাকতে হয় তারা রয়েছেন এই ঝুঁকিতে।গরম আবহাওয়ায় যেমন বদহজম, ডায়রিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি হিট স্ট্রোক বা গরমের কারণে চরম ক্লান্ত লাগার মতো অবস্থাও সৃষ্টি হয়।

আর তাই জেনে নিন তীব্র তাপপ্রবাহে যেসব অসুস্থতা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।

হিটস্ট্রোক: হিট স্ট্রোক হচ্ছে সবচেয়ে গুরুতর তাপজনিত অসুস্থতা। তীব্র গরমে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বেড়ে যায় এবং শরীর নিজ থেকে এই অতিরিক্ত তাপ বের করতে পারে না। শরীরের এই তাপজনিত গুরুতর অসুস্থতাই হলো হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক। তীব্র গরমে রোদে দীর্ঘ সময় অবস্থান করা ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না পান করার কারণে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিটস্ট্রোকের লক্ষগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভ্রান্তি, ঝাপসা দেখা, চেতনা হারানো, শুষ্ক ত্বক বা প্রচুর ঘাম, খিঁচুনি ইত্যাদি। এমন সব লক্ষণ দেখলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ঠান্ডা, ছায়াযুক্ত জায়গায় নিয়ে যান। পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন, বা বরফের পানিতে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে দিন। মাথায় ঠান্ডা পানি ঢালুন এবং উক্ত স্থানে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। 

অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা বা তাপক্লান্তি: শরীর অতিরিক্ত পরিমাণে পানি এবং লবণ হারিয়ে ফেলার কারণে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখায়। এর মধ্যে একটি হচ্ছে অত্যধিক ক্লান্ত লাগা। বয়স্ক ব্যক্তি, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, যারা গরম পরিবেশে কাজ করছেন তাদের এমনটা হতে পারে। তাপক্লান্তির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বিরক্তি, তৃষ্ণা, প্রচন্ড ঘাম, শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, প্রস্রাব কমে যাওয়া ইত্যাদি।

হিট ক্র্যাম্প: হিট ক্র্যাম্প একটি সাধারণ সমস্যা। এই অসুস্থতার ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, যারা গরমে কায়িক পরিশ্রম করেন বেশি। ঘাম শরীরের লবণ এবং আর্দ্রতার মাত্রা হ্রাস করে। পেশীতে লবণের কম মাত্রা বেদনাদায়ক ক্র্যাম্প সৃষ্টি করে। হিট ক্র্যাম্পও তাপক্লান্তির লক্ষণ হতে পারে। পেটে, বাহুতে বা পায়ে পেশীর ক্র্যাম্প, ব্যথা বা খিঁচুনি হিট ক্র্যাম্পের লক্ষণ। হিট ক্র্যাম্পে আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে এবং প্রতি ১৫ থেকে ২০ মিনিটে কার্বোহাইড্রেট এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে এমন খাবার ও পানীয় খেতে হবে।

হিট র‍্যাশ: হিট র‌্যাশ হলো গরম, আর্দ্র আবহাওয়ায় অতিরিক্ত ঘামের কারণে ত্বকের জ্বালা। এতে পিম্পল বা ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়। এটি প্রতিরোধে সম্ভব হলে ঠান্ডা, কম আর্দ্র পরিবেশে কাজ করুন। ফুসকুড়ির জায়গা শুকনো রাখুন। পাউডার লাগাতে পারেন আক্রান্ত স্থানে। মলম এবং ক্রিম ব্যবহার করবেন না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়