ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

গরু চুরির মামলা : যে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ৩০ মার্চ ২০২৪  

গরু চুরির মামলা : যে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট

গরু চুরির মামলা : যে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট

৩১ বছর আগে নীলফামারীর সদর থানায় গরু চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, কথিত গরু চুরির ঘটনায় দায়ের করা এই মামলায় এজহার দাখিল, গ্রহণ এবং তদন্তে ব্যাপক অবহেলা, অনিয়ম ও অন্যায় হয়েছে।অপরদিকে নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতও গতানুগতিকভাবে রায় দিয়েছেন। সাক্ষ্য, নথি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণে উভয় আদালত চরম অবহেলা ও অনিয়ম করেছেন, যা বিচারক সুলভ নয়। আদালত রায়ে আরো বলেছেন, নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে যার গরু চুরি হয়েছে তার থেকে পুলিশই সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ শনিবার ১২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করেছেন।

হাইকোর্ট নীলফামারীর প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতের রায় ও আদেশ বাতিল করে আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

রায়ে আদালত বলেছেন, অবগতি ও পর্যালোচনার জন্য অত্র রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হলো।

একইসঙ্গে রায় ও আদেশের অনুলিপি বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার সব এজাহার গ্রহণকারী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রায় ও আদেশের অনুলিপি জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (জেএটিআই) পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রকাশিত রায়ে।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী জেলার সদরের ধোবাডাঙ্গা গ্রামের মৃত বৈকুন্ঠ রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় তাদের ৫টি গরু চুরির অভিযোগে নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। ৫টি গরুর আনুমানিক মূল্য ধরা হয় ১১ হাজার ৭০০ টাকা। মামলায় সাইফুল ইসলাম ও তোফাজ্জাল হোসেনকে আসামি করেন। পরে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দবির উদ্দিন সাইফুল ইসলাম, তোফাজ্জাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন এই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন নীলফামারীর ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আসামি সাইফুল ইসলাম ও দেলোয়ার হোসেনকে খালাস দেন। একইসঙ্গে আসামি তোফাজ্জল হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

পরে ২০০৬ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর দায়রা জজ আদালত বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ফৌজদারি রিভিশন দায়ের করেন আসামি তোফাজ্জল হোসেন। রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট উভয় আদালতের রায় ও আদেশ বাতিল করেন। সেই রায় শনিবার (৩০ মার্চ) প্রকাশিত হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়