ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

করোনার পর ভয়ংকর রূপ নিয়েছে অ্যাডিনো

হেলথ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ৯ মার্চ ২০২৩  

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ভারতে করোনার পর ভয়ংকর রূপ নিয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। সাধারণ জ্বর-কাশি থেকেই এ ভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে একের পর এক শিশুর প্রাণ।

তাই আতঙ্কিত না হয়ে নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে জানুন এ ভাইরাস সম্পর্কে বিস্তারিত।

এক সাক্ষাৎকারে কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অপূর্ব ঘোষ এ ভাইরাস নিয়ে কথা বলেছেন। তার মতে, করোনা থেকেও ভয়ংকর অ্যাডিনো ভাইরাস। 

ভাইরাসটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাস প্রসূন গিরিও। তিনি জানান, অ্যাডিনোভাইরাস থেকে পেটের অসুখ হয়। সংক্রমণ হতে পারে চোখেও। যাকে চিকিৎসাশাস্ত্রে কঞ্জাঙ্কটিভাইটিস বলা হয়। 

এ ভাইরাসটির বিষয়ে বিস্তারিত না জানার কারণে সাধারণ মানুষ অ্যাডিনোকে সাধারণ ফ্লু আর জ্বর হিসেবেই দেখছে, যা ভয়ংকররূপে ছড়িয়ে পড়ছে। কয়েক দিনের ব্যবধানে তাই প্রাণ হারাচ্ছে হাজার হাজার শিশু।

কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অপূর্ব ঘোষ জানিয়েছেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে–

১। বেশি তাপমাত্রায় জ্বর।
২। শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
৩। চোখ লাল হয়ে কঞ্জাকটিভাইটিস হওয়া।
৪। শরীরে অক্সিজেন লেভেল নিচে নেমে যাওয়া।
৫। প্রস্রাব কমে যাওয়া, কখনো প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
৬। ডায়রিয়া।
৭। মাথাব্যথা, বমি, কাশি ইত্যাদি।

ডা. অপূর্ব ঘোষ জানান, অ্যাডিনো ভাইরাসের ওষুধ এখনও আবিষ্কার হয়নি। তাই উপসর্গ অনুযায়ী ওষুধ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। সাধারণত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা এ ভাইরাসের শিকার হয়ে মারা যায়।

এ রোগ থেকে দূরে থাকতে মাস্ক পরার ওপর জোর দেন তিনি। কেননা, অ্যাডিনো ভাইরাসও করোনার মতোই লালারস থেকে ছড়ায়। নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি যতটা সম্ভব নিজেকে বাইরের ধুলাবালি থেকে দূরে রাখার অভ্যাস করতে হবে।

বাইরে থেকে অফিস বা বাসায় ফেরার পরপরই হাত, পা, মুখ ধোয়ার অভ্যাস রাখতে হবে। বিশেষ করে নাক ভালো করে পরিষ্কার করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

কোনো কারণে শিশুর এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল খাওয়াতে পারেন। বমি কমাতে ডোমপেরিডন খাওয়াতে পারেন। শ্বাসকষ্ট কমাতে নাকে স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।

যেকোনো ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েটের বিকল্প নেই। তাই খাবারে রাখুন রঙিন শাকসবজি আর ফলমূল। পান করুন প্রচুর পরিমাণে পানি আর শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে ভেষজ ওষুধ যেমন: নিম, তুলসী, আদা খাওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দিন। অ্যাডিনো ভাইরাস প্রতিরোধে গরম মসলার চা খাওয়ার অভ্যাসও গড়ে তুলতে পারেন এ সময়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়