ঢাকা, শনিবার   ২৭ জুলাই ২০২৪ ||  শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

আগস্টে ভালো কাজের পুরস্কার পেলেন ডিএমপির যেসব সদস্য

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৮, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মিরপুর বিভাগের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান মুহাম্মদ মুহতারিম। পুলিশ পরিদর্শকদের (তদন্ত) মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্লবী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন। পুলিশ পরিদর্শকদের (অপারেশনস) মধ্যে প্রথম হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মো. তোফাজ্জল হোসেন।

শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর থানার এসআই মো. কামাল হোসেন খান ও ভাটারা থানার এসআই মো. মাসুদুর রহমান। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মতিঝিল থানার এএসআই মো. হেলাল উদ্দিন ও যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই হারাধন চন্দ্র বাইন। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. কামাল হোসেন খান। চোরাইগাড়ী উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন তুরাগ থানার এসআই মো. লাল মিয়া। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার।

গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন মিরাজ। তিনি একই সঙ্গে গোয়েন্দা বিভাগের মাদকদ্রব্য ও চোরাই গাড়ি উদ্ধারের শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াস হোসেন। অস্ত্র উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার বার্নাড এরিক বিশ্বাস।

ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-লালবাগ বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মিরপুর-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. হালিমুল হারুন। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পবিত্র বিশ্বাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-রমনা বিভাগের রমনা-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. আনিসুল ইসলাম ও ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. রাসেল আলম।

এছাড়া ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

প্রতি মাসে অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার(হেডকোয়ার্টার্স), অতিরিক্ত দায়িত্বে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাইফুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স আ্যন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়