ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

১৫ কি.মি. দীর্ঘ উড়াল সড়ক পাচ্ছে কিশোরগঞ্জের হাওড়বাসী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ১৪ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের হাওড়ে নির্মিত হচ্ছে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের উড়াল সড়ক। প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৫ হাজার সাড়ে ৬০০ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের পাশাপাশি হাওড়ের মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতির সঙ্গে বিকশিত হবে পর্যটন শিল্প।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে নবনির্মিত মিঠামইন সেনানিবাস ও নিকলী হয়ে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত হাওড়ের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১৫ দশমিক ৩১ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়াল সড়ক। জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের নাকভাঙ্গা মোড় থেকে মরিচখালি বাজার পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৪০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হবে।

প্রকল্পে থাকছে ১ হাজার ২৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি সেতু, ১৩টি টোল প্লাজা, টোল মনিটরিং ভবন, চেক পোস্ট, ১৩ কিলোমিটার সাবমারসিবল সড়ক, শোধনাগারসহ ৪টি ডিপ টিউবওয়েল, ৪টি ফুটওভার ব্রিজ, ৪০ হাজার ৪৬৮ বর্গমিটার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ৮ হাজার ২২৪ বর্গমিটার বাসস্টপ নির্মাণ কাজ। এ জন্য ১৫১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে।

হাওড় এলাকার সঙ্গে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরসহ ঢাকা, সিলেট ও অন্যান্য জেলার সঙ্গে সারা বছর সরাসরি নিরবচ্ছিন্ন চলাচলের জন্য নির্মিত হচ্ছে এই উড়াল সড়ক।

হাওড়বাসীর আশা, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে শেষ হবে দীর্ঘদিনের বিড়ম্বনা। খুলবে সম্ভাবনার দ্বার।

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, হাওড়বাসীর স্বপ্নের উড়াল সড়ক বদলে দেবে এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা, সচল হবে অর্থনীতির চাকা। সেই সাথে বিকশিত হবে হাওড়ের পর্যটন শিল্পও।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, হাওড়ে নির্মিত উড়াল সড়ক বাস্তবায়নে দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হবে।

গত ১৭ জানুয়ারি ৫ হাজার ৬৫১ কোটি ১৩ লাখ টাকার এ প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালের জুন মাসে।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়