ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

১৪ বছরে রাজশাহীর উন্নয়ন, প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তিই বেশি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং পরিচর্যায় মাত্র ১৪ বছরেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যতম বিভাগীয় শহর রাজশাহী। পরিবর্তনের চিহ্নগুলি যেখানে স্পষ্ট হয়ে আছে।  বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের ব্রতই রাজশাহীকে এনে দিয়েছে আজকের এই পরিবর্তন।

বহুকাল ধরেই উন্নয়নবঞ্চিত হয়ে থাকার অভিযোগ ছিলো পদ্মা পারের মানুষদের।  ক্ষমতায় যারাই থাকুক, উন্নয়নবঞ্চিত থেকে গেছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ। তবে বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে মিটেছে সেই আক্ষেপ। এখন দেশের অন্য অঞ্চলের সাথে সমানতালে এগিয়েছে রাজশাহী অঞ্চল। রাজশাহীর এই সমৃদ্ধি এখানকার মানুষদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গ্যাছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে রাজশাহী জেলা এবং মহানগরে ২৯৩টি উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা। যার ফলশ্রুতিতে রাজশাহীর প্রতিটি জেলাতেই এখন ধারাবাহিক উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আর তাই শিক্ষা শহর রাজশাহী আজ পরিণত হয়েছে সাজানো-গোছানো এক দৃষ্টিনন্দন নগরীতে।

প্রশস্ত-পরিচ্ছন্ন রাস্তা, আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নগরজুড়ে সবুজায়ন-আলোকায়ন, বিনোদন কেন্দ্রের উন্নয়নসহ নানাবিধ পরিবর্তনে রাজশাহী হয়ে উঠেছে এক তিলোত্তমা নগরী। উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের সেই রাজশাহীকে আজ যেন আর খুঁজেই পাওয়া যায়না। গত ১৪ বছরের এই পরিবর্তনকে মেলাতে পারেন না খোদ রাজশাহীর মানুষেরাই।

রাজশাহীর মানুষকে দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেই দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে এলেন। এবার তিনি রাজশাহীর নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্পের ৩১টির ফলক উন্মোচন করেছেন। সেই সাথে এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আরও ২৫টি নতুন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৬টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

এই অঞ্চলে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড এতটাই বিস্তৃত যে, অল্প কথায় যা বর্ণনা করা অসম্ভব। এই অঞ্চলের মানুষকে দেয়া প্রতিটি কথাই রেখেছে বর্তমান সরকার। বরং সরকারের নিজস্ব উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তাবায়নের ধারাবাহিকতা এই অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গ্যাছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই প্রথম রাজশাহী শহরে পাইপলাইনে গ্যাস এসেছে। শহর-গ্রামের সড়ক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসার প্রতিটি ক্ষেত্রে নানাবিধ নতুনত্ব, যোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি- এসব কিছুই উন্নয়নে বদলে যাওয়া এক নতুন রাজশাহীকে চিনিয়ে দিচ্ছে।

তাইতো দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে রাজশাহীতে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর মানুষ। নানান রঙে প্রিয় নগরীকে সাজিয়ে তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছেন পদ্মা পারের মানুষেরা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন যেন রাজশাহীর মানুষের প্রিয় উৎসবে পরিণত হয়েছে।

মানুষের এই ভালোবাসা এমনিতে আসেনা, এমনিতে আসেনি কোনদিন।  একের পর এক মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আমাদের দিচ্ছে নিত্য-নতুন স্বপ্ন পূরণের স্বাদ। বর্তমান সরকারের চলমান ধারাবাহিক উন্নয়নের কারনেই প্রতিনিয়ত আমরা হাজারটা প্রাপ্তিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছি। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন নিজের জীবন বিপন্ন করে এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজের সর্বস্ব নিয়োগ করেছিলেন। তেমনি তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তাঁরই কন্যা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এদেশের মানুষের কল্যাণে। তাঁর নেতৃত্বে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশের কাতারে প্রবেশ করবে এমনটাই প্রত্যাশা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়