ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১০ স্ত্রী, ৯৮ সন্তান ও ৫৬৮ নাতি-নাতনি নিয়ে সুখের সংসার মুসার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৫, ২০ নভেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডার বুটালেজা জেলার বাসিন্দা মুসা হাসাদজি। বর্তমানে ৬৭ বছর বয়স তার। উগান্ডার এই নাগরিকের রয়েছে ১০ জন স্ত্রী, ৯৮ জন সন্তান এবং ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি। সব মিলিয়ে পরিবারে সদস্য সংখ্যা সাত শতাধিক।

মুসা জানান, তার ১০ জন স্ত্রী রয়েছেন এবং তারা সবাই একই বাড়িতে একসঙ্গে থাকেন। ১০ স্ত্রীর ঘরে আছে ৯৮ জন সন্তান। এই সন্তানদের থেকে তার ৫৬৮ জন নাতি-নাতনি জন্ম নিয়েছে।

মুসা বহুবিবাহকে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদ বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উগান্ডায় তিনিই একমাত্র স্বামী, যার এতো জন স্ত্রী রয়েছেন।

মুসাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তিনি সব সন্তান ও নাতি-নাতনির নাম জানেন কিনা? জবাবে বলেন, তিনি সবাইকে আলাদা করে চিনতে পারেন। তবে সবার নাম মনে থাকে না।

মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বাবা হন মুসা। তার ছেলে-মেয়েদের অনেকেই বিবাহিত, অনেকে আবার এখনও লেখাপড়া করছে। তিনি বাড়ির কাছে সন্তানদের জন্য কুঁড়েঘরও তৈরি করেছিলেন।

মুসার প্রথম স্ত্রীর নাম হানিফা হাসাদজি, কনিষ্ঠ স্ত্রীর নাম কাকাজি। কাকাজির বয়স মুসার অনেক নাতি-নাতনির বয়সের চেয়েও কম।

কাকাজি জানিয়েছেন, মুসা যদি আবারও বিয়ে করেন তাতে তার কোনও সমস্যা নেই। কারণ সে সবার খেয়াল রাখে। মুসার সব স্ত্রী আলাদা আলাদা খাবার রান্না করেন। কিন্তু সবাই একই বাড়িতে থাকেন। তার এই স্ত্রীরা এসেছেন উগান্ডার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।

মুসা যখন প্রথম বিয়ে করেন তখন যৌতুক হিসেবে স্ত্রীকে তিনটি গরু ও চারটি ছাগল দেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার সময়েও একই পরিমাণ যৌতুক দেওয়া হয়েছিল।

এ সম্পর্কে মুসা বলেন, দুটি বিয়ে করার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন গরু-ছাগল খেতে না পেয়ে দ্রুত মারা যাচ্ছে। এরপর পরের বিয়েতে তিনি যৌতুক হিসেবে দুটি গরু দেন।

তিনি বলেন, যখন তার ৩০ জন সন্তান ছিল, সে বছর খুবই কঠিন সময় গেছে। ফসল ঠিকমতো উৎপাদন করা যায়নি। ব্যবসা করেও লাভ হয়নি। সংকটের ওই পর্যায় এখন আর নেই।

মুসা যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, সেখানে মাত্র দু’জন সদস্য ছিলেন। পরিবারের আয় কম ছিল, যার কারণে তাকে মাঝপথে স্কুল ছাড়তে হয়। প্রথম বিয়ের পর বাজরা বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন মুসা। প্রথম দিকে গুলু স্টেশন থেকে ট্রেনে করে বাজরা কাম্পালায় নিয়ে যেতেন।

মুসার ওই ব্যবসা সফলতার মুখ দেখে। এরপর তিনি গরু কেনেন। তাতে সফলতা আসলে মুসা বিয়ে করেন।

উগান্ডার এই নাগরিক বলেন, মাঝে তিনি মাটন ও মুরগীর ব্যবসাও শুরু করেন। সেই থেকে তিনি আজ সফল ব্যবসায়ী হয়ে উঠেছেন। মুসার বেশ কয়েক একর জমি আছে, যেখানে তিনি ফসল ফলান।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়