ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হিমালয়ে ট্র্যাকিং করার জন্য নতুন নির্দেশনা

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:২০, ১৬ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছরই হিমালয় অভিযান ও তুষারপাতে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারান। কয়েক মাস আগেও সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিদেশি পর্যটক। বিশেষ করে শেরপার সাহায্য ছাড়া ট্র্যাকিং করার জন্যই হয়েছে একের পর এক দুর্ঘটনা। আর তাই এবার কঠিন পদক্ষেপ নিলো নেপাল সরকার। 

স্থানীয় গাইড ও শেরপা ছাড়া হিমালয় অঞ্চলে একা একা ট্র্যাকিং নয়। বিদেশিদের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে নেপাল সরকার। আগামী ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে এই নতুন নিয়ম। বিদেশি ট্র্যাকারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই নিয়ম চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু।

নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের মুখপাত্র মণি রাজ লামিছনে বলেছেন, একা হিমালয়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে প্রতিবছরই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন বিদেশি পর্যটকরা। এই সংখ্যা গত কয়েক বছরে ক্রমেই বেড়েছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। তাই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো। 

নেপাল প্রশাসনের দাবি, ট্র্যাকিং করতে গিয়ে প্রতিবছর হিমালয়ের কোলে হারিয়ে যান ৪০ থেকে ৫০ জন বিদেশি পর্যটক। তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের মৃতদের উদ্ধার করাও সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছে তারা।

মণি রাজ ফের যোগ করেছেন, একা হিমালয়ে ট্র্যাকিং করতে গিয়ে অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। এর ফলে ভুল বার্তা যাচ্ছিল। অনেক বিদেশিই মনে করেন ট্র্যাকিংয়ের জন্য নেপাল অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গা। সেই কারণেই এই পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিদেশি ট্র্যাকারদের নিরাপত্তা দিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

অন্যদিকে নেপালে ট্র্যাকিং নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে ট্র্যাকিং এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল বা টিএএএন। সংস্থাটির দাবি, নেপালে নিরাপদে ও সংগঠিতভাবে ট্র্যাকিংয়ের আয়োজন করা হয়। টিএএএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ট্র্যাকারদের স্ট্যান্ডার্ড পারমিট দেওয়া থেকে শুরু করে বিমা পর্যন্ত দেওয়া হয়। এছাড়া ট্র্যাকিংয়ের যাত্রাপথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চেকপয়েন্টও তৈরি করা হয়েছে।

হিমালয়ে ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন এই নিয়ম শুধুমাত্র বিদেশিদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে নেপাল ট্যুরিজম বোর্ড। মণি রাজ বলেন, এতে কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি ট্র্যাকিংকে আরও সংগঠিত করা যাবে। 

টিএএএনের দাবি, ২০১২ থেকেই ট্র্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। সেই বছর থেকেই ‘এক ট্র্যাকার এক গাইড’ পদ্ধতি চালু করা হয়। তবে নেপাল সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে তারা।

নেপাল প্রশাসনের দাবি, দুই ধরনের বিদেশি ট্র্যাকার তাদের দেশে আসেন। তাদের মধ্যে একদল হলো স্বাধীন ট্র্যাকার, যারা একা হিমালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ট্র্যাকার করেন। তারা কোনো গাইডের ধার ধারেন না। অন্য ধরনের ট্র্যাকাররা অবশ্য বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমেই পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পছন্দ করেন। প্রথম ধরনের ট্র্যাকারদের দুর্ঘটনার কবলে পড়ার সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে নেপাল প্রশাসন। আর তাই এমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হলো। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়