ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হজ-ওমরা পালনকারীর মর্যাদা ও সম্মান

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বছরের নির্ধারিত দিনে হজ করতে হয়। আর সারাবছর ওমরা করা যায়। হজ ও ওমরা পালনকারীদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অনেক বেশি। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা তুলে ধরেছে

১. হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি হজ, ওমরা অথবা আল্লাহর পথে জিহাদের উদ্দেশে বের হবে আর পথেই মৃত্যুবরণ করবে; আল্লাহ তাআলা তার জন্য গাজী, হাজি বা উমরা পালনকারীর সাওয়াব ধার্য করবেন। (মিশকাত ২৫৩৯, বায়হাকি ৩৮০৬)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তুমি কোনো হাজির সাক্ষাৎ পাবে তাকে সালাম দেবে, মুসাফাহা করবে আর তাকে অনুরোধ জানাবে, তিনি যেন তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান তার ঘরে প্রবেশ করার আগেই। কারণ তিনি (হাজি) ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। (মিশকাত ২৫৩৮, আহমাদ ৫৩৭১)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘আল্লাহর প্রতিনিধি বা মেহমান হলো তিন ব্যক্তি। গাজী (ইসলামের জন্যে সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী), হাজি ও ওমরা পালনকারী।’ (মিশকাত ২৫৩৭ নাসাঈ ২৬২৫, বায়হাকি ১০৩৮৭)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হজ ও ওমরাকারী হলো আল্লাহর দাওয়াতি কাফেলা বা মেহমানি দল। অতএব তারা যদি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, তিনি তা কবুল করেন। আর যদি তারা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (মিশকাত ২৫৩৬, ইবনু মাজাহ ২৮৯২)

হজ ও ওমরা পালনকারীদের মর্যাদা সম্মান অনেক বেশি। হাদিসের অনেক বর্ণনায় তা বর্ণিত হয়েছে। হাদিসে পাকে তাদের জান্নাতি ও নিষ্পাপ ঘোষণা করা হয়েছে। যা অন্য কোনো ইবাদতকারীর ব্যাপারে এভাবে ঘোষণা করা হয়নি। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে লোক আল্লাহরই (সন্তুষ্টির) জন্য হজ করেছে এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলেনি বা অশ্লীল কাজকর্ম করেনি। সে লোক হজ থেকে এমনভাবে বাড়ি (নিস্পাপ হয়ে) ফিরবে যেন সেদিনই তার মা তাকে প্রসব করেছে। (মিশকাত ২৫০৭, বুখারী ১৫২১, মুসলিম ১৩৫০)

আল্লাহ তাআলা সামর্থবানদের হজ ও ওমরা করে হাদিসে ঘোষিত মর্যাদা ও সম্মান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। নিষ্পাপ ও জান্নাতি হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়