ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সুন্দরবনের বাঘ জরিপে থাকবেন ৪ বিশেষজ্ঞ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২০, ৭ ডিসেম্বর ২০২২  

সুন্দরবনের বাঘ জরিপে থাকবেন ৪ বিশেষজ্ঞ

সুন্দরবনের বাঘ জরিপে থাকবেন ৪ বিশেষজ্ঞ

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের বাঘ (রয়েল বেঙ্গল টাইগার) গণনা শুরুর প্রস্তুতি চলছে। টাইগার কনজারভেশন প্রজেক্টের আওতায় অর্থ ছাড় করার পরই জরিপের জন্য চার বিশেষজ্ঞ নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করা হয়। আজ বুধবার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন।

সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ও প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন জানান, চার জন বিশেষজ্ঞ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ সম্পন্ন হলেই বাঘ জরিপ শুরু করা হবে। ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন জুনিয়র বিশেষজ্ঞ, খাল সার্ভের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ এবং তথ্য বিশ্লেষণের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ নিয়োগের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর আবেদনের শেষ দিন। এরপর অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চার জন বিশেষজ্ঞ চূড়ান্ত করা হবে। এ প্রকল্পে দুই কিস্তিতে এক কোটির কিছু বেশি অর্থ ছাড় করার পরই বিশেষজ্ঞ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। বাঘ জরিপের জন্য প্রয়োজনীয় অবশিষ্ট অর্থ জরিপ শুরু করার পর পাওয়া যাবে। বিশেষজ্ঞ নিয়োগ সম্পন্ন হলেই বাঘ জরিপ শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে এখন সার্বিক প্রস্তুতি চলছে।

তিনি আরও জানান, বাঘ জরিপের জন্য পরিকল্পনা কমিশন থেকে তিন কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় দুই কিস্তিতে এক কোটির কিছু বেশি টাকা ছাড় করে। সব কার্যক্রম শেষে বাঘ জরিপ কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। এখন পুরনো ক্যামেরাগুলোর অবস্থা দেখা হচ্ছে। এ জরিপ কাজের জন্য উপযুক্ত ক্যামেরা খোঁজা হচ্ছে। বাঘ জরিপ কাজে এবার নতুন ২০০ ক্যামেরা থাকবে। আর পুরনো ক্যামেরা থেকে আরও ১শ নিয়ে ৩শ স্পটে ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বন বিভাগ থেকে জানা গেছে, সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প অনুমোদন হয় চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ রয়েছে ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের একটি অংশে তিন কোটি ২৬ লাখ টাকা দিয়ে বাঘ গণনা করার কথা উল্লেখ আছে। প্রকল্পের অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে– বাঘ যেন লোকালয়ে চলে না আসে সে জন্য জনবসতি আছে এমন ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেড়া দেওয়া, ঘূর্ণিঝড় ও উচ্চ জলোচ্ছ্বাসে বাঘ যেন নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে সে জন্য বনের মধ্যে ১২টি মাটির কেল্লা নির্মাণ, আগুন লাগে এমন এলাকায় দুটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার নির্মাণ এবং আগুন লাগলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে নেভানো যায় সে জন্য যন্ত্রপাতি, পাইপ ও ড্রোন কেনা, সুন্দরবনের বাঘ-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে ৪৯টি ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের ৩৪০ জন সদস্য এবং চারটি রেঞ্জের কমিউনিটি প্যাট্রল গ্রুপের ১৮৫ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ দেওয়া, পোশাক সরবরাহ, প্রতি মাসে বনকর্মীদের সঙ্গে মাসিক সভা করা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জরিপ মতে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০০৯-২০১৭), ২০১০ সালের বিশ্ব বাঘ সম্মেলনের অঙ্গীকার, দ্বিতীয় টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান (২০১৬-২০২৭) ও গ্লোবাল টাইগার ফোরামের সিদ্ধান্তের আলোকে দেশে বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ এবং সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ ও এর সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়