ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শাবনূর-পূর্ণিমার ১০ মিনিটের লাইভ ভাইরাল

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১০, ৬ মার্চ ২০২৩  

পূর্ণিমা ও শাবনূর

পূর্ণিমা ও শাবনূর

সিনেমার দর্শকের কাছে শাবনূর ও পূর্ণিমা দুজনেই স্বপ্নের নায়িকা। শাবানা-ববিতা পরবর্তীকালে যারা নায়িকা হিসেবে সাড়া ফেলেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম শাবনূর-পূর্ণিমা। এক যুগ আগেও তারা দুজনেই দাপিয়ে সিনেমা করলেও এখন অনিময়তি।

সিনেমা কম করলেও পূর্ণিমা এখনও নতুনের মতো নিজেকে ধরে রেখেছেন। কিন্তু শাবনূর সবকিছু ছেড়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী হয়েছেন। এই দুই নায়িকাকে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে দেখে আবেগ সামলাতে পারেনি নেটিজনরা।

শাবনূরের সঙ্গে পূর্ণিমার করা ১০ মিনিটের একটি লাইভ ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকেলে লাইভে ভক্তদের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন শাবনূর-পূর্ণিমা। মাত্র দুদিনের মধ্যে পূর্ণিমার সেই লাইভটি অর্ধকোটি অনুসারী দেখেছেন। মিনিটে মিনিটে বাড়ছে ভিউ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দেখা যায়, লাইভটিতে ৩ লাখ ১১ হাজার লাইক পড়ে, মন্তব্য ছিল ৪৮ হাজার এবং শেয়ার হয়েছে পাঁচ হাজার!

সবাই আবেগে ভাসছেন। তাদের হাজার হাজার ভক্ত নস্টাজলিয়া অনুভব করে মন্তব্য করেছেন। দুজনকে একসঙ্গে দেখে ভালো লাগা জানিয়েছেন।

গেল মাসের শেষে স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন ও কন্যা আরশিয়া উমায়জাকে সিডনীতে গেছেন পূর্ণিমা। এই খবর পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শাবনূর। তিনি জানান, রীতিমত হারিকেন জ্বালিয়ে খুঁজে বের করেছেন পূর্ণিমাকে। পাশপাশি পূর্ণিমাও চাইছিলেন  শাবনূরের সঙ্গে দেখা করতে।

জানা যায়, শাবনূরের বাসায় আমন্ত্রণ জানানো হলে যাওয়া হয়নি পূর্ণিমার। তিনি যে আত্মীয়ের বাসায় আছেন সেখানে চলে আসেন শাবনূর।

হাসি আড্ডায় ১০ মিনিটের লাইভে শাবনূর বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, সবাই মনে করে আমাদের মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্ক। কিন্তু মোটেও তা না। পূর্ণিমা বলেন, আমাদের মধ্যে ফুলে ফুলে পাপড়ির মতো সম্পর্ক। এখনও অভিনয় করতে গেলে শাবনূর আপুর কথা আসে।

”সে অভিনয়ের প্রতিষ্ঠান। আমাদের সবার অনুপ্রেরণা। অনেকবার তাকে কপি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেই কপি আসল কপি না। মানুষ হিসেবে তার তুলনা নেই। শাবনূরের ধারেকাছে কেউ আসবে না। সে একমাত্র আমাদের সবার প্রিয় শাবনূর আপু।”

পূর্ণিমা আরও বলেন, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। শাবনূর আপুর জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না। যখনই শুটিং করতাম, পরিচালকরা বলতেন কি এক্সপ্রেশন দাও? শাবনূরের মতো করার চেষ্টা করো। তার চোখ, ঠোঁট কথা বলে। এগুলো শুনে অনেকসময় কান্না করতাম।

পূর্ণিমায় মুগ্ধ হয়ে শাবনূর জানান, পূর্ণিমাকে দেখে চোখে পানি এসেছে। তিনি বলেন, অনেকদিন পর পূর্ণিমাকে দেখলাম। তার এত গুণ আল্লাহ দিয়েছে আমি তার মতো এত গুণের না। সে এত সুন্দর করে স্টেজে কথা বলে আমি জীবনেও তার মতো পারব না। সে দেখতেও অনেক সুন্দর। তার কোনো তুলনা হয়না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়