ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মেসিকে আমার আলাভোলা বাঙালি মনে হয়’

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৮, ২৬ নভেম্বর ২০২২  

লিওনেল মেসি

লিওনেল মেসি

নিজের মনের কথা শেয়ার করার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। চলতি ফুটবল মৌসুমে ফুটবল প্রেমীরা তাদের প্রিয় দল এবং খেলোয়ারদের নিয়ে অনেক কিছুই লিখছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন গ্রুপ পেজসহ ব্যক্তির ফেসবুক পোস্টেও ঘুরে বেড়াচ্ছে লেখাটি। এটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:

সংসার আর কাজ, এর বাইরে দুনিয়া নাই। কারো ভালো মন্দেও নাই। অতটা লম্বা নন, আকর্ষণীয়ও নন। সপ্তাহে সপ্তাহে বান্ধবী চেঞ্জ নাই, ড্যান্স ক্লাবে আনাগোনা নাই। নির্ঘাত পদ্মা বা মেঘনার কোনো চরে মেসির পূর্বপুরুষদের বসবাস ছিল। না হলে আধুনিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠ প্রতিভা কেনো ছোটবেলার বান্ধবীকেই বিয়ে করবে। তিন বাচ্চা নিয়ে নির্বিবাদে সংসার করবে। সেই সংসারে থাকছে আবার বাবা-মা। একটা কাপ জিতে মাঠের মধ্যেই ভিডিও কলে বউ বাচ্চার সঙ্গে খোশগল্প শুরু করবে। এক্কেবারে গ্রাম্য বাঙালি পরিবার।

অথচ পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। ফুটবলে আকাশচুম্বী যার সাফল্যে, ম্যাগনেটে আটকে থাকা লৌহদন্ডের মতো পায়ে ফুটবল রেখে পৃথিবীর যে কোনও দলের রক্ষণভাগকে ফালা ফালা করে ফেলার একক ঐশী দক্ষতা যার, সকলকে বেকুব মানিয়ে অতিমানবীয় ফ্রি কিক দেওয়ার ক্ষিপ্রতা যে মানুষটির, তিনি লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার বস্তি থেকে উঠে এসে ফুটবল বিশ্বকে দোর্দণ্ড প্রতাপে শাসন করে চলছেন।

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের মালিক সেই মানুষটিকেও কখনো কখনো কাঁদতে হয়। শুধুমাত্র একটি ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার জন্যও ঘন্টাখানেক চোখের জল ফেলতে হয়! ফুটবল ইশ্বর হিসেবে পৃথিবী শাসন করা ব্যক্তিটিও লোকসমক্ষে এভাবে হাপুসনয়নে কাঁদতে পারে। আসলে সত্যিকারের মানুষরাই কান্না করে। সাম্রাজ্য শাসন করলেও মনের কোনো কারো কারো জন্য সত্যিকারের জায়গা থাকে। দেখিয়ে দিলেন, প্রিয়তমের জন্য দিব্যি কাঁদা যায়। লোকসমক্ষে হাপুসনয়নেও কাঁদা যায়। সগৌরবে বলা যায় আমি ছাড়তে চাইনি।

ঠিক ২১ বছর আগে মাত্র ১৩ বছর বয়সে প্রথম বার্সালোনাতে আসেন মেসি। ডিনারে চুক্তির কথা তোলেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট। মেসির খুব অর্থ সংকট চলছিল। তাই ডিনারটা শেষ করার আগেই চুক্তির জন্য হাঁসফাঁস শুরু করলো। অনেকটা বিরক্ত হয়ে ক্লাব প্রেসিডেন্ট ওয়েটারকে দিয়ে একটা ন্যাপকিন আনান। ডিনার টেবিলেই লিখে ফেলেন কন্ট্রাক্ট। সেই ক্লাব ছাড়ার সময় চোখের জলে ন্যাপকিন ভেজান।  ফুটবলের সর্বকালের সেরা মহাকাব্য একজনই, এমনই- লিওনেল মেসি।

কখনো কখনো ফুটবল ইশ্বর, কখনো অপার্থিব, কখনো অতি মানবীয় আবার কখনো কখনো মায়াবি বিভ্রমে ভেবেছি ছেলেটা আমাদেরই কেউ। অনেকটা বাঙালি চরিত্রের প্রতিনিধি। আসলে একজন মেসি ফুটবল ঈশ্বর সংস্করণকেও ছাপিয়ে নিয়ে গেছেন নিজেকে। মেসি, সব রকম বিতর্কের বাহিরে একজন.. একটা বিশ্বকাপ মেসির অপেক্ষায়...

সর্বশেষ
জনপ্রিয়