ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১০ আগস্ট ২০২২  

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন

মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেন

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) পুরাতন প্রশাসনিক ভবন পার হলেই পঞ্চম ফটক। সেই ফটকটি থেকে শুরু হয়ে দ্বিতীয় একাডেমিক ভবন পর্যন্ত রয়েছে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারি। এসব গাছের কারণেই রাস্তাটির নাম হয়েছে কৃষ্ণচূড়া লেন। মাভাবিপ্রবির এই কৃষ্ণচূড়া লেনটি আজ সৌন্দর্যের অনন্য প্রতীক হয়ে উঠেছে। মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে মাভাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে।

জানা যায়, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নিজেরা টাকা জমিয়ে ২০১৯ সালে সারিবদ্ধভাবে রোপণ করেছিলেন আটটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। বর্তমানে গাছগুলো বড় হয়েছে। লোকমুখে প্রচলিত হয়েছে রাস্তাটির নাম ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’। মাভাবিপ্রবির কৃষ্ণচূড়া লেনে এখন অবিরাম সৌন্দর্য। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা যাতায়াত করেন। দূর থেকেই সবার চোখে পড়ে রাস্তার কৃষ্ণচূড়ার আভা।

গাছগুলো এখন বড় হয়েছে, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সেই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশের দেয়ালে রঙ দিয়ে লিখে দিয়েছিলেন ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’। কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো সারিবদ্ধভাবে কারণ রাস্তাটিতে প্রখর রোদে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দীর্ঘদিন কষ্ট লাঘব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এমন কর্মকাণ্ডে আনন্দিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

গাছগুলোর মাথার দিকটা এলোমেলো। ডালগুলো নিচের দিকে নুয়ে আছে। পাতাগুলো বেশ সুন্দর, বড় ডালে চিকন চিকন সব পাতা। শীতকালে গাছের সব পাতারা ঝরে যায়। তখন ন্যাড়া গাছে ঝুলতে থাকে কালচে রঙের চেপটা ফলগুলো। আবার গরমের শুরুতে এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই ডালে নতুন পাতার আগেই ফুলের কুঁড়িগুলো উঁকি দিতে শুরু করে। তখন গাড় লাল, কমলা, হলুদ এবং হালকা হলুদ রঙের ফুলে ফুলে ভরে ওঠে গাছ। দূর থেকে গোটা গাছটাকেই একটি বিশাল ফুলের তোড়া মনে হয়।

কৃষ্ণচূড়া লেন সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, মাভাবিপ্রবি কিছু মানুষের কাছে কেবলই একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, আবার কারো কারো কাছে এটি এক টুকরো ভালোবাসা। সদ্য কৈশোর পেরোনো এই প্রাণের ক্যাম্পাসকে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলার প্রত্যাশায় ছাত্রছাত্রীরা কৃষ্ণচূড়া গাছ রোপণ করেছিলেন। গাছগুলো যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, তখন এই প্রাঙ্গণটিকে ভিন্ন নামে, ভিন্ন সাজে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছেটা আরো সুস্পষ্ট হতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় সেই কৃষ্ণচূড়া গাছের ছায়াঘেরা রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘কৃষ্ণচূড়া লেন’। 

মো. দেলোয়ার হোসেন নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাস দেখতে কৃষ্ণচূড়া লেনে ছবি তোলেনি এমন কাউকে পাওয়া যাবে না। প্রতি বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে ক্যাম্পাসে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শহর থেকে অনেকে কৃষ্ণচূড়া লেন দেখতে আসেন। কৃষ্ণচূড়া লেনের নিচে রাস্তার পাশে বসার জায়গা করে দিলে আরো ভালো হতো। প্রাঙ্গণটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সৌন্দর্যে পরিণত হয়েছে। যেখানে আড্ডা হয়, গান হয়, প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে কতো নতুন স্মৃতি। যার সবকিছুতে মিশে থাকে কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম উন্মাদনা।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়