ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ব্যবসায়ীরা কথা দিয়েছেন রোজায় দাম বাড়বে না : বাণিজ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:১০, ২০ মার্চ ২০২৩  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি

দেশের ছয় শিল্পগ্রুপের কাছে বর্তমানে ৩ লাখ ২ হাজার ১৬৩ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল মজুত রয়েছে। পাশাপাশি পাঁচ শিল্পগ্রুপের কাছে চিনি মজুত আছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ টন। এছাড়া ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন ভোজ্যতেল এবং ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ টন চিনি পাইপলাইনে আছে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের সভায় উপস্থাপন করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, অর্থ, কৃষি, খাদ্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং আনসারসহ দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কোনোভাবেই বাড়বে না। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং ব্যবসায়ী নেতারাও এ বিষয়ে কথা দিয়েছেন। তাছাড়া রমজানে জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করছে। দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যে মজুত আছে, তাতে কোনোভাবেই দাম বাড়বে না। যদি কেউ সুযোগ নেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় উত্থাপিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, টিকে গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েল লিমিটেড এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে ৩ লাখ ২ হাজার ১৬৩ টন ভোজ্যতেল মজুত রয়েছে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে আরও ২ লাখ ৭৫ হাজার ৮৪৫ টন।

আর সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, আব্দুল মোনেম এবং দেশ বন্ধু সুগার লিমিটেডের কাছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৬৮ টন চিনি মজুত রয়েছে। এর বাইরে পাইপলাইনে রয়েছে ৫ লাখ ৯৯ হাজার ৫০ টন চিনি।

সভা শেষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভোজ্যতেল-চিনির মজুত ও চাহিদা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমাদের যা প্রয়োজন তার দেড়গুণ মজুত রয়েছে। তাদের হাতে আছে এবং পাইপলাইনে আছে। তেল ও চিনি এ দুটাই তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে আছে। ফলে কোনোভাবেই সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, চিনিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আমরা অনেক হিসাবনিকাশ করে দেখেছি চিনির দাম সাড়ে চার টাকার মতো কমানো যায়। আমরা ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি ৫ টাকা কমানোর। তারা রাজি হয়েছে। শুল্ক ছাড়ের পণ্য এখনো বাজারে আসেনি। তাই তারা কিছুদিন সময় চেয়েছেন। আশা করি, রোজার প্রথম সপ্তাহেই নতুন দামের চিনি বাজারে চলে আসবে।

মুরগির দাম এখন বাড়তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, রমজানে যাতে মুরগির দাম সহনীয় থাকে, সেজন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে। এটা আর বাড়বে না। এফবিসিসিআই এবং ব্যবসায়ী নেতারাও কথা দিয়েছেন জিনিসপত্রের দাম আর বাড়বে না। সারা দেশ থেকে রাজধানীতে পণ্য আনার সময় পথে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রমজানে এক কোটি দরিদ্র পরিবারকে দুইবার কম দামে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে।

ব্যবসা বাণিজ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়