ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পুতিন নারী হলে ইউক্রেনে আক্রমণ করতেন না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৫৭, ২৯ জুন ২০২২  

বরিস জনসন

বরিস জনসন

টানা চার মাসেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রুশ এই আগ্রাসনে সামরিক-বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক হওয়ায় অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের সঙ্গে মস্কোর সমালোচনায় বরাবরই মুখর বরিস জনসন।

আর এবার এই ইস্যুতে বেশ ব্যতিক্রমী বক্তব্য নিয়ে হাজির হয়েছেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। তার দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নারী হলে ইউক্রেনে আক্রমণ করতেন না। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইউক্রেনে হামলা চলানোর মতো পাগলামী ও দাম্ভিক সিদ্ধান্তটি আসলে বিষাক্ত পুরুষত্বের একটি নিখুঁত উদাহরণ। আর এই কারণেই ক্ষমতার বিভিন্ন পদে আরও বেশি সংখ্যক নারীদের আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্পেনের রাজধানী শহর মাদ্রিদের উপকণ্ঠে চলছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলন। মঙ্গলবার শুরু হওয়া তিনদিনের এই সম্মেলন চলবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসন এবং এ সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে এই সম্মেলনে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ন্যাটোর একটি বৈঠকের আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে এই মন্তব্য করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ওই বৈঠকে যুক্তরাজ্যসহ মিত্র দেশগুলো কীভাবে ভবিষ্যতের হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।

এদিকে মাদ্রিদের এই শীর্ষ সম্মেলনে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর জন্য ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাবেন জনসন। চলতি বছর যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা ব্যয় দেশটির জিডিপির ২.৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭ এর সম্মেলনের পর বরিস জনসন জার্মান ব্রডকাস্টার জেডডিএফকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। সেখানে লিঙ্গ সমতা এবং শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে কথা বলার সময় ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতার বিভিন্ন পদে আপনাদের আরও বেশি নারীর প্রয়োজন।

বরিস জনসন বলেন, পুতিন যদি একজন নারী হতেন, যা স্পষ্টতই তিনি নন, কিন্তু তিনি যদি তা (নারী) হতেন, আমি সত্যিই মনে করি না যে তিনি এই পাগলামী ও দাম্ভিক আক্রমণ-সহিংসতার মাধ্যমে এই পন্থায় যুদ্ধ শুরু করতেন।

তিনি আরো বলেন, আপনি যদি বিষাক্ত পুরুষত্বের একটি নিখুঁত উদাহরণ চান, তাহলে তা হবে- তিনি (পুতিন) ইউক্রেনে যা করছেন।

বরিস জনসন বলেন, জি-৭ নেতারা মরিয়া হয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাপ্তি খুঁজছেন, কিন্তু বর্তমানে (যুদ্ধ অবসানের) কোনো চুক্তি আমাদের সামনে নেই। তবে তিনি এই শীর্ষ সম্মেলনকে অবিশ্বাস্য হিসাবে উল্লেখ করেছেন কারণ নেতারা এই সংক্রান্ত একটি চুক্তির জন্য আরো ঘনিষ্ঠ এবং কাছাকাছি এসেছেন।

ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেষ পর্যন্ত যখন রাশিয়ার সাথে আলোচনা শুরু হবে তখন সেখানে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এগিয়ে রাখতে পশ্চিমা দেশগুলোকে এখন অবশ্যই ইউক্রেনের সামরিক কৌশলকে সহায়তা করতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়