ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ১৮ মার্চ ২০২৩  

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে।

গতকাল শুক্রবার (১৭ মার্চ) হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী দূতালয় প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার সূচনা করেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আলোচনা পর্ব শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

হাইকমিশনার তার বক্তব্যে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু শৈশব থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী কিন্তু অধিকার আদায়ে ছিলেন আপসহীন। নিজের স্কুলের সমস্যা সমাধানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বন্ধুকে ছাতা দিয়ে নিজে বাড়ি ফিরেছেন বৃষ্টিতে ভিজে। শীতকালে গায়ের চাদর খুলে দিয়েছেন বৃদ্ধকে। বেড়ে উঠেছেন মানবিক গুণাবলী নিয়ে।

হাইকমিশনার সিদ্দিকী বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষণে অন্যায়-অবিচার ও শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কখনো শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেননি। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি জাতিরই নয়, তিনি ছিলেন বিশ্বের সব নিপীড়িত-শোষিত মানুষের অধিকার ও মুক্তির অগ্রনায়ক।

হাইকমিশনার বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যতে দেশ গড়ার কাজে তারাই নেতৃত্ব দেবে। বঙ্গবন্ধু শিশুদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭৪ সালের ২২ জুন শিশু আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু ঘোষিত শিশু নীতিকে আরো যুগোপযোগী করতে শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেন।

আলোচনা পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

বিকেলের অনুষ্ঠানের শুরুতে হাইকমিশনার সব শিশু-কিশোরদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন ইভেন্টে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর হাইকমিশনার শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের কেক কাটেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়