ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পটুয়াখালীর তিন উপজেলায় একজন মানুষও গৃহহীন নেই: জেলা প্রশাসক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ১৯ জুলাই ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন গৃহহীন ও ভূমিহীন কেউ রয়েছে কিনা সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু এ তিন উপজেলায় নতুন করে কোনো গৃহহীন পাওয়া যায়নি।’ জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জমিসহ সেমিপাকা ঘর দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে ছিন্নমূল ও অসহায় জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন।

এর ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালীর ৮টি উপজেলায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপসহ ৬ হাজার ৭৩টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

এছাড়াও আগামী ২১ জুলাই তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে গৃহহীনদের ঘর দেয়া উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ ধাপে পটুয়াখালীতে ৫১৭টি পরিবারকে ঘর দেয়া হবে।

আজ মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ১০টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে জমি ও গৃহপ্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধনবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য দেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার নতুন তালিকাভুক্ত ৬২টি গৃহের বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং বরাদ্দপ্রাপ্ত গৃহের নির্মাণকাজ চলছে। পরবর্তীতে দশমিনা, দুমকি ও মির্জাগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে নতুন গৃহহীন ও ভূমিহীন কেউ রয়েছে কিনা সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। কিন্তু এই তিনটি উপজেলায় নতুন করে কোনো গৃহহীন পাওয়া যায়নি।

টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রাপ্ত প্রস্তাব পর্যালোচনা পরে এ তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণার প্রস্তাব দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে শুধু দশমিনা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন ঘোষণা করা হয়।

পটুয়াখালীর অন্যান্য উপজেলায় এখনো যাচাই-বাছাই চলছে। গৃহ নির্মাণের চাহিদা থাকলে তা প্রদান করে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন ঘোষণা করা হবে। তবে নদী ভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে যদি কেউ ভূমিহীন হয় তবে তাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে ভূমি ও ঘর দেয়া হবে‌।

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়