ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পঞ্চগড়ের বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে গম, ব্যাপক ফলনের সম্ভাবনা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:১৫, ৮ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিস্তীর্ণ খোলা মাঠ। যতদূর চোখ যায় ততদূরই বাতাসে দুলছে গমের শিষ। চারদিকটায় চোখ ঘোরালে একই চিত্র চোখে পড়বে। উত্তরের জেলা পঞ্চগড় এখন কৃষি সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটি। প্রতিবছর এই জমিগুলোতে বোরোর আবাদ করা হলেও এবছর চাষিরা চাষ করছেন গম।

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের কৃষকেরা এবার বোরো আবাদের পরিবর্তে গম চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। চাষীদের মতে, ‘জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে গম আমদানি কমে যাবার আশঙ্কায় তারা গম চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তারা বলছেন, গম আবাদে সেচ খরচ কম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ব্যাপক ফলনও দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের ফলে এবার গমের দামও ভালো পাবার আশা করছেন তারা।

তারা বলছেন, গমের আবাদে খরচ কম। খুব বেশি সেচেরও প্রয়োজন পড়ে না। অন্য আবাদ করলে বছরে দুটি ফসল পাওয়া যায়। কিন্তু গমের আবাদে একই জমিতে বছরে আবাদ করা যায় তিনটি। গমের পরে পাট, পাটের পরে তারা আবার আমন আবাদ করবেন। ফলে গম আবাদ করলে লাভের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তাই এবার অনেক চাষিই গমের আবাদের দিকে ঝুঁকেছেন। 

চাষিরা ভাষ্যমতে, গমের ফলন ব্যাপক। আবহাওয়াও বেশ অনুকূলে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতি বিঘায় ৩০ থেকে ৩৫ মণ গম উৎপাদন সম্ভব। তারা আশা করেন, সরকার সঠিক ভাবে গমের ন্যায্য বাজার মূল্য নির্ধারণ করবে। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাষিদের ঠিকভাবে সহযোগিতা করছেন না এমন অভিযোগও রয়েছে তাদের।’

তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, তারা সবসময় চাষিদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রিয়াজউদ্দিন জানান, ‘এবার গমের ফলন ভালো হয়েছে। গম পাঁকা শুরু হয়েছে। আর এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে গম কাটা শুরু হবে। এবার কৃষকের মুখে হাসি দেখা যাচ্ছে।’ 

তিনি আরও জানান, ‘এবার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। এবার ৮৩ হাজার ৫’শ মেট্রিকটন গম উৎপাদনের আশা করছেন বলে জানালেন তিনি।’

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়