ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:২৫, ২৯ জানুয়ারি ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বোরো ধান আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। গত মৌসুমে কৃষক ধানের দাম ভালো পাওয়ায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে সংশিষ্ট কৃষি সম্পাসারণ বিভাগ আশা করছে। 

উপজেলায় চলছে বোরো আবাদের মৌসুম। মাঘ মাসে কুয়াশা ঢাকা শীতের সকাল হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকরা বোরো ধানের চারা রোপণের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে বোরো আবাদের ধুম চলছে।
 
সরেজমিন দেখা গেছে, ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা। যদিও গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা কিছুটা কম রয়েছে এ উপজেলায়। বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষাবাদের কাজ চলছে পুরোদমে। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা, কোথাও গভীর নলকূপ থেকে চলছে পানি সেচ, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ।

আবার কৃষক নদী থেকে নালা পদ্ধতিতে পানি সংগ্রহ করেছেন। কোথাও বোরো ধানের রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। কৃষকের ব্যস্ততায় শীত যেন তাদেরকে স্পর্শ করছে না। শরীরে রয়েছে হালকা পোশাক, মাথায় গরম কাপড়। সব মিলিয়ে ফুরফুরে মেজাজ বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক। কিছু কিছু মাঠে জমির রোপণে কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

উপজেলার চিরাং ইউপির কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে ধানের দাম বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ কৃষকরা বোরো চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এ বছর প্রণোদনা হিসেবে উফশী ধানের বীজ পেয়েছি। এ বছর ১ দশমিক ৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছি। আর ধানের দাম বেশি হলে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারবো।

উপজেলার পাইকুড়া ইউপির কৃষক হলুদ মিয়া বলেন, এ বছর বোরো মৌসুমে ১ হেক্টর  জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। আমাদের এ উপজেলায় ধান ভালো হলে প্রতি হেক্টরে ৮০ থেকে ১০০ মণ ধান পাওয়া যাবে এবং প্রতি মণ ধান ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হবে বলে আশা করছি। গত বছর শেওলার কারণে উপজেলার অনেক কৃষকের বোরো ধানের চারা নষ্ট হয়েছিল। আশা করছি এ বছর এমন যেন না হয়।

উপজেলা কৃষি অফিসার এ কে এম শাহজাহান কবীর জানান, এ মৌসুমে ২০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা এবং ৯৫ হাজার মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ কৃষকের মাঝে হাইব্রিড ও ৪ হাজার ৪০০ উফশী জাতের ধান বীজ ৭ হাজার  ৯০০ কৃষককে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। উপজেলার উপ সহকারী কৃষি অফিসারগণ প্রতি নিয়ত কৃষকদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। 

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়