ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ জানালেন ভারতের রেলমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:০৩, ৪ জুন ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ওড়িশায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটা ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনাটি ভুল সিগন্যালের কারণে হয়েছে। রেলমন্ত্রী অশিনি বৈষ্ণ রোববার (৪ জুন) জানিয়েছেন, সেখানে থাকা ইলেকট্রনিক সিগন্যালের ত্রুটির কারণেই ৩০০ মানুষের প্রাণ গেছে।

এছাড়া প্রাথমিক তদন্তেও বের হয়েছে শুধুমাত্র সিগন্যালের ভুলের কারণে স্মরণকালের ভয়াবহ এ রেল দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।

বার্তাসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওড়িশার বালেশ্বরের যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে চারটি লাইন ছিল। যেগুলোর মধ্যে দুটি মেইন লাইন। আর দুটি লুপ লাইন।

১২৭ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসা সালিমার-চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মেইন লাইন দিয়ে চলে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য মেইন লাইনে সিগন্যালও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সিগন্যাল আবার বন্ধ করে পাশের লুপ লাইনে দেওয়া হয়। ওই সময় লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনকে পেছন থেকে প্রচণ্ড জোরে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এতে ট্রেনটির বেশিরভাগ বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এর কয়েক মিনিট পরই ব্যাঙ্গালুরু থেকে আসা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস করমণ্ডলের বগিগুলোতে ধাক্কা মারে।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটি পয়েন্ট মেশিন, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং। যে পরিবর্তন ইলেকট্রনিক ইন্টারলিংকের সময় হয়েছিল, সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কে সিগন্যাল দিয়ে আবার বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটির পেছনের কারণ কী সেটি তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার আসল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। আমি বিস্তারিততে যাব না। তদন্ত প্রতিবেদন আসুক। আমি শুধু বলব আসল কারণ এবং কারা দায়ী সেটি চিহ্নিত হয়েছে।’

এদিকে শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনা ঘটার পর আহত ও নিহতদের উদ্ধারে ১৮ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চলে। এখন রেললাইন পরিষ্কার ও ক্ষতিগ্রস্ত বগিগুলো সরানোর কাজ চলছে।

তিন ট্রেনের সংঘর্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৭৫ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। যদিও একবার বলা হয়েছিল, এ ঘটনায় ২৮৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে মৃতদেহ পুনর্গণনা শেষে সংখ্যাটি কমানো হয়।

ভারতের নয়াদিল্লিতে ১৯৯৫ সালে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩৫৮ জন নিহত হন। যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রেল দুর্ঘটনা। এছাড়া ২০১৬ সালে ইন্দোর ও পাটনা শহরের মাঝামাঝি একটি জায়গায় ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে ১৪৬ জন মারা যান।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়