ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ছোট গল্প: কারণটা আজও বললে না

মোহাম্মদ শেখ সাদী

প্রকাশিত: ১৪:১০, ২২ মার্চ ২০২৩  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কলেজ ক্যাম্পাসে রেড ক্রিসেন্টের কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় নাদিয়ার সঙ্গে। নাদিয়া প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক। সব সময় তার উপদেশমূলক কথাগুলো খুবই উপভোগ করতাম। বিশেষ করে কলেজে কোনো প্রোগ্রাম হলে তার ভূমিকা ছিল খুবই প্রশংসনীয় এবং ভালো লাগার মতো।

কলেজে অনিয়মিত হলেও নাদিয়ার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর কলেজে নিয়মিত আসতাম। যেদিন নাদিয়া আসতো না; সেদিন যেন আমার মনের মধ্যে অস্থিরতা কাজ করতো। বুঝতে পারলাম, তার প্রতি আমার ভালোবাসা বেড়েছে। আমার মনের জমিতে সে বসতবাড়ি গড়েছে।

একদিন কলেজ ছুটির পর তাকে বললাম, ‘চল একসঙ্গে বের হই। সে-ও রাজি হয়ে গেলো।’

সেখান থেকেই শুরু। প্রায় ২ বছর আমাদের সম্পর্ক ভালোভাবেই চলছিল। মুঠোফোনে প্রচুর কথা বলতাম। অনেক ঘুরেছি আমরা, হাতে হাত ধরে হেঁটেছি।

কয়েকদিন ধরে নাদিয়ার ফোন বন্ধ পাচ্ছি। কলেজেও আসছে না। আমি তো পুরোই অস্থির। এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছি। যেন এলোমেলো হয়ে গেছে জীবনের গতিপথ। দীর্ঘ এক মাসেও তার ফোন খোলেনি। কলেজে না আসার কারণও খুঁজে পাইনি।

একদিন বন্ধু রাহাত ফোন করে বলল, ‘দোস্ত, শুক্রবার আমার ছোট বোনের বিয়ে। তুই অবশ্যই আসবি।’

বিয়েতে গিয়ে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। বধূ সাজে বসে আছে আমার নাদিয়া। যে কি না হাত ধরে প্রায়ই বলতো, ‘খুব শিগগির আমরা এক ছাদের নিচে থাকবো। সুন্দর একটা সংসার গড়বো।’

চোখে চোখ পড়তেই সে যেন নিজেকে লুকাতে চায়। তাকে বধূ সাজে দেখে কলিজাটা যেন মোচড় দিয়ে উঠল। আমি আর সেখানে স্থির থাকতে পারলাম না। চোখ মুছতে মুছতে চলে এলাম। ভাবলাম, নাদিয়া আমারই বন্ধুর ছোট বোন। দুই বছর প্রেম করে তা-ও জানতে পারলাম না।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়