ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চোখ, মাড়ি এমনকি পুরুষাঙ্গে ট্যাটু করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়লেন তিনি

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ২ জুলাই ২০২২  

সংগৃহীত

সংগৃহীত

জীবনে এক হাজার ঘণ্টারও বেশি সময় অতিবাহিত করে, ১৬ বছর ধরে সবচেয়ে বেশি ট্যাটু করা মানুষ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন গ্রেগরি পল ম্যাকলারেন! লাকি ডায়মন্ড রিচ নামেই সর্বাধিক পরিচিত তিনি। 

রেকর্ড অনুযায়ী, ডায়মন্ড রিচের পুরো শরীরের ২০০ শতাংশ ট্যাটুতে ঢাকা! মাথা থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দুইবার শরীরে কালি দেওয়ার পর এমনটা সম্ভব হয়েছে। শুধু তার চামড়া নয়, তার চোখের পাতা, মাড়ি, কানের গহ্বর, এমনকি তার পুরুষাঙ্গও কালিতে ঢাকা।

লাকি ডায়মন্ড রিচের জন্ম নিউজিল্যান্ডে। সার্কাসের সঙ্গে জড়িত নানা কার্যকলাপ, যেমন জাগলিং, তলোয়ার গিলে ফেলা, ইউনিসাইকেল চালানো ইত্যাদিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন ডায়মন্ড রিচ। ১৬ বছর বয়সে তিনি সার্কাসে যোগ দিয়েছিলেন এবং এই ১৬ বছর বয়সেই প্রথমবার শরীরে ট্যাটু করান তিনি। 

নিজের প্রথম ট্যাটু সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে রিচ জানান, তিনি প্রথম ট্যাটুটি করেছিলেন নিজের নিতম্বে। তার মা যাতে ট্যাটু দেখতে না পান, সেই জন্যই এমনটা করতে হয় তাকে। ৫১ বছর বয়সী ডায়মন্ড রিচ শুধুমাত্র নিজের শরীরে ট্যাটুই করাননি, বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তনও করেছেন। রূপা দিয়ে দাঁত প্রতিস্থাপন করেছেন এবং তার কানের লতিতে বিশাল লম্বা করিয়ে ফুটো করিয়েছেন। এছাড়াও সারা জীবন ধরে দেহে বিভিন্ন ছিদ্র করিয়েছেন লাকি।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একটি সাক্ষাত্কারে নিজের এই নামের ব্যাখ্যা করে রিচ বলেন, 'আমি মনে করি আমি স্বভাবগতভাবেই ভাগ্যবান, আমি জাগলিং করতে পারতাম, আমি তলোয়ার গিলে ফেলতে পারতাম, দশ ফুট ইউনিসাইকেল চালাতে পারতাম। ডায়মন্ড নাম হলো কারণ আমার বন্ধুরা আমাকে রুক্ষ হিরে বলে ডাকে এবং রিচ কারণ আমি উৎসাহে সমৃদ্ধ।'

নিজের এই চেহারার জন্য কখনো কখনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও পেয়েছেন রিচ। এটা আবহাওয়ার মতো। আপনি এর ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না, আপনি এটি নিয়ন্ত্রণও করতে পারবেন না। কেবল এর মোকাবিলা করতে হবে, বিভিন্ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বলেন ডায়মন্ড রিচ। 'আমি অন্য কারও থেকে আলাদা নই। আমি শুধু বেশি ট্যাটু করিয়েছি। আমারও রক্ত মাংসেরই দেহ,' বলেছেন গিনেস জয়ী এই মানুষ।

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস, নিউজ ১৮ 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়