ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঘুরে আসুন নীল সমুদ্রের দ্বীপ সোনাদিয়া

এইচ এম ফরিদুল আলম শাহীন

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১ অক্টোবর ২০২২  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নীল সমুদ্রের স্বচ্ছ জলরাশি আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। যার নাম সোনাদিয়া। সোনার চেয়ে ও দামী এ দ্বীপ! এই সমুদ্রের সুনীল জলরাশি কার না ভালো লাগে। আপনি  অবসর পেলে হাতে একটু  সময় নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়তে পারেন।

প্রকৃতিকে খুব কাছে থেকে দেখতে হলে সমুদ্র হতে পারে ভালো গন্তব্য। সমুদ্রের বুকে দাঁড়িয়ে থাকে এই দ্বীপের নাম সোনাদিয়া। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উত্তর পশ্চিম দিকে থাকালেই দেখবেন সমুদ্রের মাঝে দাঁড়িয়ে আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে এ দ্বীপ। 

কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সমুদ্র দর্শনের আদর্শ স্থান সোনাদিয়া। অনেক গুলো দর্শনীয় স্থানের মধ্যে সোনাদিয়া দ্বীপ অন্যতম। এই দ্বীপটি কক্সবাজার জেলা সদর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম সাগরের কোল ঘেষে এর অবস্থান। সোনাদিয়া দ্বীপের আকর্ষণীয় স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম ম্যানগ্রোভ ফরেষ্ট । দ্বীপটি নিজ চোখে না দেখলে এর সৌন্দর্য বোঝা কঠিন।

দ্বীপটির প্রায় তিন দিকে সু-নীল সাগর, কেয়া বন, লাল কাঁকড়া, জেলেদের বিচিত্র জীবন ধারা, সব মিলিয়ে সোনাদিয়া প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে চলছে। সোনাদিয়ার  সর্বত্রই পাওয়া যাবে নির্ভেজাল বিভিন্ন রকমের মাছের শুঁটকি। এ দ্বীপের সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বর্ণনা করা খুবই অসম্ভব। প্রায় ৪৬০ বর্গ কিলোমিটারের এ দ্বীপে অতিথি পরিযায়ী পাখীর আগমন ঘটে শীতকালে। তাছাড়া সোনাদিয়া থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দুটোই দেখা যায়। চাঁদনী রাতে যদি আপনার সৌভাগ্য হয় ক্যাম্পিং আর বারবিকিউ পার্টি করার  তাহলে আনন্দ বহুগুণ বেড়ে যাবে। 

সোনাদিয়ায় কোনো আবাসিক হোটেল নেই। তবে এখানকার লোকজন আপনাকে থাকতে দেবে বিনা ভাড়ায়। আবার কারো সাঙ্গে চুক্তি করলে খাওয়া থাকা দুটোরই সুবিধা পাবেন। তবে তাদের পরিবেশের সঙ্গে আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে। 

সাগরের তরতাজা ইলিশ, রূপচাঁদা, কোরাল, বাটা, কৈ,মাইট্যা, চুরি ইত্যাদি। স্থানীয় রন্ধন পদ্ধতি মেনে কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করা রেসিপি খেতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি তো আছেই। 

কক্সবাজার কস্তুরা ঘাট থেকে স্পিডবোট অথবা ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে মাত্র ২৫/৩০ মিনিটের মধ্যে আপনি পৌঁছাতে পারেন সোনাদিয়ায়। এক্ষেত্রে কাঠের বোট বা স্পিডবোট রিজার্ভ নিতে হবে। কাঠের বোটে যেতে পারবেন ৫০/৬০ জন আর স্পিডবোটে ৮/১০ জন যাত্রী বহন করা যাবে। সোনাদিয়ায় নিয়মিত যাত্রীবাহী নৌকা যাতায়াত করে না। আবার মহেশখালী জেটি ঘাট হয়ে সড়ক পথে ঘটিভাঙ্গা গিয়ে, সেখান থেকে নৌকা নিয়ে পার হওয়া যায়। এক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। একটি স্পিডবোটের ভাড়া দেড় থেকে ২ হাজার টাকা। কাঠের বোটের ভাড়া গুনতে হবে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ফিরতে হলে সোনাদিয়াতেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের নৌযান। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়